প্রতীক্ষা: রোদেই দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা। নিজস্ব চিত্র
ছাউনি নেই। ঠা ঠা রোদে দাঁড়িয়েই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। কখনও কাছের পান গুমটির ছাউনিতে, কখনও হাতে থাকা ব্যাগ মাথায় ধরেই কড়া রোদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। নারায়ণগড়ের মকরামপুর বাসস্টপে দীর্ঘদিন প্রতীক্ষালয় তৈরির দাবি থাকলেও কাজ হায়নি আজও।
ব্লকের কোতাইগড়, মাগুরিয়া, বীরবীরা, ভদ্রকালী, বেলটি, বিনয়ী, সিথলি, তালা, ফুলবেড়িয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই বাসস্টপে প্রতিদিন বাস ধরতে আসেন। ব্লকের সদর শহর বেলদা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস এই এলাকা দিয়েই যাতায়াত করে। এ ছাড়া দিঘা ও খড়্গপুরের বাসও যাতায়াত করে এখান দিয়েই। রোদে-বৃষ্টিতে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়েই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বাসস্টপে নেই শৌচাগারের ব্যবস্থাও।
মকরামপুরের বাসযাত্রী ভক্তিপদ চন্দ বলেন, “বাস ধরতে রোদে দাঁড়ানো ছাড়া উপায়ই বা কী! দীর্ঘদিন এলাকায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির দাবি রয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।” স্থানীয় পানের দোকানদার তপন মাইতি বলেন, “গরমে ও বর্ষায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়। এতদিনেও একটা যাত্রী প্রতীক্ষালয় আর তৈরি হল না।”
জমির অভাবেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা যাচ্ছে না বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। জবরদখলে সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে খড়্গপুর-ভুবনেশ্বর জাতীয় সড়কও। মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধীরেন পণ্ডিত বলেন, “যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দাবি থাকায় বহুবার আলোচনা হয়েছে। যদিও জমির অভাবে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এ বিষয়ে বাজার কমিটির দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”
মকরামপুর বাজার কমিটির সভাপতি পিন্টু অধিকারী বলছেন, “ওই এলাকায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি সত্যিই প্রয়োজন। এখানে যাঁরা ব্যবসা করে খাচ্ছে তাঁদের তো হঠাৎ উঠিয়ে দেওয়া যাবে না। আমরা দেখছি কীভাবে কী করা যায়।”