তোড়জোড় শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হল। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, সম্প্রতি এই বিজ্ঞপ্তি জেলায় এসেছে। অবশ্য কবে ওই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই। জেলা প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, নতুন জেলা পরিষদ গঠন হতে আর সামান্য কিছু সময় লাগতে পারে। নতুন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ- সভাধিপতির আসন সংরক্ষণ হচ্ছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যই এটা জানতে চেয়েছে। এর জবাব আসার পরেই নতুন জেলা পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের এক কর্তা মানছেন, “দিন কয়েক আগেই ওই বিজ্ঞপ্তি হাতে এসেছে।” গত মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হয়। জেলা ভাগ হলেও জেলা পরিষদ একই ছিল। একশো দিনের কাজ, সর্বশিক্ষা মিশন-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সমস্যার কথা ভেবে জেলা পরিষদ ভাগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক জেলাশাসক। সেখানে একই জেলা পরিষদে দু’জন জেলাশাসক থাকলে সমস্যা হওয়ারই কথা। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জেলায় আসে। যে জেলায় আসে তা সেই জেলা বাদে অন্য জেলার জন্য খরচ করা মুশকিল। তাই সংবিধানের ২৪৩- বি ধারা মেনে জেলা পরিষদও আলাদা করার তোড়জোড় শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের এক কর্তা মানছেন, “জেলা পরিষদ ভাগ না- হলে আগামী দিনে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে।”
দিন কয়েক আগে রাজ্যের এক চিঠি এসে পৌঁছয় জেলায়। জেলা পরিষদ সদস্যদের নাম জানতে চায় রাজ্য। কোন সদস্য কোন এলাকা থেকে নির্বাচিত তাও জানতে চাওয়া হয়। তারপর দু’টি তালিকা তৈরি করে রাজ্যে পাঠিয়ে দেয় জেলা। একটিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ও আর একটিতে ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদ সদস্যদের নাম জানানো হয়। নতুন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির আসন সংরক্ষণ হচ্ছে কি না তাও জানতে চেয়েছে রাজ্য। এর জবাব আসার পরেই নতুন জেলা পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ জন্য একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হবে।