গুলি- কাণ্ডে চৌরঙ্গি থেকে ধৃত এক চক্রী

পুলিশের খাতায় বাবু কুখ্যাত দুস্কৃতী। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। বছর পাঁচেক আগে মেদিনীপুর শহরে এক সোনার ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল বাবুও। সে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটে। পরে জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। বাবুর বাড়ি শহরের নিমতলাচকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ঘটনার তিনদিনের মাথায় মেদিনীপুরের গুলি- কাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়্গপুরের চৌরঙ্গিতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। পুলিশের কাছে খবর ছিল, ঘটনার অন্যতম চক্রী বাবু মাইতি ওরফে কোচন সেখানে রয়েছে। পুলিশ হাতেনাতে ধরে তাকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া মানছেন, ‘‘মেদিনীপুরের ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ মূলচক্রী অবশ্য এখনও পলাতক। জেলা পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘আরেকজনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।’’

Advertisement

পুলিশের খাতায় বাবু কুখ্যাত দুস্কৃতী। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। বছর পাঁচেক আগে মেদিনীপুর শহরে এক সোনার ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল বাবুও। সে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটে। পরে জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। বাবুর বাড়ি শহরের নিমতলাচকে। পলাতক মূলচক্রীর বাড়ি শহরের বটতলাচকে বলে পুলিশের এক সূত্রে খবর। তদন্তের স্বার্থে মূলচক্রীর নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। ধৃত যুবক প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে, সে গুলি ছোড়েনি। তার সঙ্গে থাকা আরেকজনই গুলি চালিয়েছে। কী উদ্দেশে গুলি ছোড়া হয় তা-ও সে জানে না! প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করাই গুলি চালানোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল।

সরস্বতী পুজোর দিন বিকেলে শহরের সিপাইবাজার- রাজাবাজারের মাঝে খাপ্রেলবাজারের কাছে গুলি চলে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, একটি বাইকে দুই যুবক ছিল। বাইকটি দ্রুত গতিতে রাজাবাজারের দিক থেকে সিপাইবাজারের দিকে চলে গিয়েছিল। বাইকে থাকা এক যুবকই কয়েকবার গুলি ছোড়ে।

Advertisement

ধৃত যুবকের কাছ থেকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জেনেছে, সবমিলিয়ে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। রাজাবাজারের দিক থেকে নয়, ওই দুই যুবক সিপাইবাজারের দিক থেকে বাইক নিয়ে ঢোকে। রাজাবাজারের দিকে যায়। সেখান থেকে ‘ইউ- টার্ন’ নিয়ে ফের সিপাইবাজারের দিকে আসে। গুলি ছোড়ার পরে তারা কেরানিচটির দিকে চলে যায়। পরে ঘুরপথে কংসাবতী নদীর ধারে রেলসেতুর কাছে পৌঁছয়। পরে ওই এলাকা থেকে বাইক নিয়ে অন্যত্র চম্পট দেয় মূলচক্রী।

তদন্তকারী অফিসরাদের অনুমান, মূলচক্রীও বেশি দিন পালিয়ে বেড়াতে পারবে না। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘পলাতক যুবকও খুনের মামলায় অভিযুক্ত। জেল খেটেছে। দুষ্কর্ম করে আগেও ও এ ভাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকার চেষ্টা করেছে। বেশিদিন পারেনি। এ বারও খুব বেশি দিন পালিয়ে বেড়াতে পারবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন