রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রোড শো তে যোগ দেওয়ার জন্য ও এলাকায় পোস্টার সাঁটানোয় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের-১ -এর ভেকুটিয়া গ্রামে৷ আহত বিজেপি কর্মী শুভ্রাংশু মাইতিকে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তমলুক মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শুভ্রাংশু ধান খেতে চাষ করছিলেন। সেই সময় রাস্তায় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ৷ শুভ্রাংশুর অভিযোগ, ‘‘আমি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রোড শো-তে যোগ দিয়েছিলাম। আর তার জন্য শাসক দলের লোকেরা আমাকে মারধর করে।’’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নন্দীগ্রামের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘এই ঘটনা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
আবার এ দিনই নন্দীগ্রামে পিডিএস প্রার্থীর ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সোনাচূড়া এলাকায়। প্রার্থীকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর সহ হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
এ দিন সকালে পিডিএস প্রার্থী শুভ্রজিৎ ভাদুড়ি রেয়াপাড়া থেকে সোনাচূড়া পর্যন্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ সোনাচূড়া বাজারের কাছে প্রচার গাড়ি পৌঁছতেই একদল লোক গাড়ির ওপর আক্রমণ করে। গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাকে ও দলের কর্মীদের মারধর করতে শুরু করে। বলছিল এখানে শুভেন্দু অধিকারি ছাড়া কেউ থাকবে না।’’
পূর্ব মেদিনীপূরের পিডিএসের জেলা সম্পাদক সুকুমার চাউলিয়া বলেন, ‘‘আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’
তমলুক উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারীর অবশ্য দাবি, ‘‘শাসকদল এই ঘটনায় জড়িত নয়। নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।