পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বোর্ড গঠনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি বৈঠক। দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার নব্বই শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁরাই বোর্ড গঠন করবেন।
কী ভাবে?
মুচকি হেসে পার্থবাবুর জবাব, ‘‘স্ট্র্যাটেজি আপনাদের বলব আর অন্য লোকে সুযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে। স্ট্র্যাটেজি বলব না, স্ট্র্যাটেজি বুঝিয়ে দেব।” বুধবার কৌশল বলেননি তৃণমূলের মহাসচিব। তবে ঝাড়গ্রাম ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের সভাঘরে বৈঠকের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থবাবু দাবি করেছেন, বিজেপির এসটি মোর্চা, ডক্টর্স সেল, সর্বশিক্ষা সেলের কয়েকশো সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি অর্থ এবং নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে, কাউকে পুরীতে, কাউকে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে গিয়ে রেখেছে। সব জানি কোথায় কে আছে। দু’এক যারা আছেন, বোর্ড গঠনের সময় এসে আমাদের সমর্থন করবেন। নব্বই শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের হবে।”
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন জনাদেশ তাঁরা মানেন না। পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে গায়ের জোরেই সব কিছু দখল করবেন।’’ তৃণমূল মহাসচিব নব্বই শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের দাবি করলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা পরে অবশ্য বলেন, ‘‘কতগুলি গ্রামপঞ্চায়েত দখল করব, এখনই তা বলা সম্ভব নয়। এখনও হিসেব চলছে।’’ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে অবশ্য সুকুমারবাবু দাবি করেছিলেন, সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই ঘাসফুল ফুটবে।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতি, শুক্র, সোম ও মঙ্গলবার এই চারটি দিনে জেলার ৭৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপ প্রধান নির্বাচন করা হবে। তার আগে এ দিন দলের নির্বাচিত প্রার্থী, নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিভিন্ন ব্লকের অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক করেন পার্থবাবু।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বাইরে থেকে লোক এনে অকারণ গণ্ডগোল হলে কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে। সীমানাবর্তী জায়গা গুলিতে নিরাপত্তা ও পাহারা আরও জোরদার করার জন্য পুলিশকে বলছি। জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ও সংহতি যেন বজায় থাকে, সেদিকে তাদের নজর দিতে বলছি।’’