চতুর্থ হওয়ার কথা ভাবেইনি কোহলি-ভক্ত পার্থসারথি

ফল ভালই হবে এমনটাই আশা করেছিল স্কুল বা পরিবারের সকলে। কিন্তু একেবারে প্রথম চারে স্থান পাবে ছেলে তা ভাবেননি কেউই। এ বারের মাধ্যমিকে অন্যতম চতুর্থ স্থানাধিকারি পার্থসারথি সামন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ছেলে। দাসপুর বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিল এই মেধাবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০০:৫৮
Share:

ফল জানার পর পরিবারের সকলের সঙ্গে পার্থসারথি। —নিজস্ব চিত্র।

ফল ভালই হবে এমনটাই আশা করেছিল স্কুল বা পরিবারের সকলে। কিন্তু একেবারে প্রথম চারে স্থান পাবে ছেলে তা ভাবেননি কেউই। এ বারের মাধ্যমিকে অন্যতম চতুর্থ স্থানাধিকারি পার্থসারথি সামন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ছেলে। দাসপুর বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিল এই মেধাবী।

Advertisement

পার্থ নিজেই বলে, ‘‘বাড়িতে আমাকে দেখতে এত ভিড় হবে কোনও দিন ভাবিনি। তবে হ্যাঁ ভেবেছিলাম হয়তো প্রথম কুড়ির মধ্যে থাকতে পারব।’’ পার্থ আরও অবাক তার নিজের মার্কশিট হাতে পেয়ে।

পদার্থবিদ্যা ও জীবনবিজ্ঞানে ১০০ করে, ইতিহাস ও ভূগোলে পেয়েছে ৯৭ করে, বাংলা ও ইংরেজিতে ৯৪ করে ন্মবর পেয়েছে সে। তবে অঙ্কে ৯৮। সব মিলিয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। এমন জোড়া জোড়া নম্বর
বেশ বিরল।

Advertisement

বরাবরই মেধাবী পার্থ স্কুলের টেস্টেও পেয়েছিল ৬৬৬ নম্বর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি মণ্ডলের কথায়, “এই ফল আমাদের কাছে গৌরবের। স্কুলের নাম উজ্জ্বল করেছে পার্থ, ভবিষ্যতে সাফল্য কামনা করি।”

শিক্ষক দম্পতি কমলেশ সামন্ত ও শিপ্রা সামন্তর ছেলে পার্থসারথি প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পরীক্ষায় কখনও দ্বিতীয় হয়নি। বাবা মায়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য পাঁচ জন গৃহশিক্ষকের কাছেও পড়াশোনা চলত। তবে ফাঁক পেলেই কখনও টিভিতে ক্রিকেট বা গোয়েন্দা গল্পে ডুব দেওয়া পার্থর অভ্যাস। পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তবে পড়ার বইয়ের ডুবে যেতেও বেশি সময় লাগে না। পছন্দের বিষয় পদার্থবিদ্যা। তাতেই ১০০ পেয়ে খুশি পার্থ জানাল, তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে।

পাড়ার ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি প্রতিবেশীরাও। দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এ দিনই সংবর্ধনা দেওয়া হয় পার্থকে। আর নিজের কৃতিত্বের জন্য বাবা-মা, স্কুল থেকে পাড়ার সকলকে ধন্যবাদ দিতে
চায় সে।

আর গর্বিত বাবা মায়ের কথায়, “সত্যি ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। আশা করব, ছেলে ভবিষ্যতেও এই সুনাম ধরে রাখবে।”

আত্মঘাতী পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল এক পরীক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের পুরনো ঝাড়গ্রাম এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম শ্রেয়া রায় (১৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পুরনো ঝাড়গ্রাম এলাকায় বাসিন্দা শ্রেয়াকে ঝাড়গ্রামে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষক্রিয়ায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। শ্রেয়ার আর এক যমজ বোন রয়েছে। দু’জনেই এবার শহরের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন