গরমে জলকষ্টে জেরবার পিংলা

গরম পড়তেই জলের হাহাকার। কোথাও নলবাহিত জলের ব্যবস্থা থাকলেও জল পড়ে না। আবার কোথাও জলের জন্য পঞ্চায়েতের লাগানো নলকূপই একমাত্র ভরসা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গরম পড়তেই সেই নলকূপও বিকল হতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০৩:৩৭
Share:

গরম পড়তেই জলের হাহাকার। কোথাও নলবাহিত জলের ব্যবস্থা থাকলেও জল পড়ে না। আবার কোথাও জলের জন্য পঞ্চায়েতের লাগানো নলকূপই একমাত্র ভরসা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গরম পড়তেই সেই নলকূপও বিকল হতে শুরু করেছে। কয়েক কিলোমিটার উজিয়ে পাশের গ্রাম থেকে আনতে হয় জল।

Advertisement

পিংলার জামনা, গোবর্ধনপুর, ছোট খেলনা, বরিষা, পিংলা, নয়া, কুসুমদা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জলের আকাল। এক সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামে সজলধারা প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ চালু হয়। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই জল সরবরাহও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

পিংলার ব্লক সদরের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা কাকলি দাস, হীরা হাঁসদাদের কথায়, “সকলের বাড়িতে তো শ্যালো নেই। তাই জল সঙ্কটে আমাদের নাজেহাল অবস্থা।’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘বহু বছর আগে টাইম কলে জল পড়ত। কিন্তু এখন কল থাকলে জল পড়ে না। আর গরমে দুপুরের পরে নলকূপেও জল ওঠে না।” পিংলার গোবর্ধনপুরের দণ্ডশিরা গ্রামেও একই অবস্থা। ওই এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামে এখনও কোনও টাইম কলের ব্যবস্থা নেই। নলকূপ থাকলেও গরমে জল ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে এলাকায় নলবাহিত জল সরবরাহের ব্যবস্থা হলে ভাল হয়।”

Advertisement

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পিংলার গোবর্ধনপুর, মালিগ্রাম, রাজপুর, বেলুড়িয়া এলাকায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি গ্রামে জল সরবরাহ হচ্ছে। এ ছাড়াও ছোট খেলনা, বরিষা, জামনা, বেলুনে জল প্রকল্পের কাজ চলছে। দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার প্রবীরকুমার সাঁতরা বলেন, “পিংলায় বেশ কয়েকটি জল প্রকল্প রয়েছে। আরও কয়েকটি জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে জলকষ্ট কমবে বলে আশা করা যায়।”

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পিংলায় এখন যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে সেখান থেকেই সুষ্ঠুভাবে জল সরবরাহ হয় না। নতুন জলপ্রকল্পের কাজেও গড়িমসি চলছে। পিংলার জামনার বাসিন্দা গীতা ভুঁইয়ার অভিযোগ, “এলাকায় একটিই নলকূপ রয়েছে। গরমে সেই নলকূপ থেকে জল পড়ে না। দু’বছর ধরে দেখছি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর শুধু জলের ট্যাঙ্ক গড়ছে। কবে জল পাব জানিনা।”

পরিস্থিতি মোকাবিলায় পঞ্চায়েত সমিতি কেন উদ্যোগী হচ্ছে না? পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সীতা মুর্মু বলেন, “পিংলায় জলাভাব আছে। বহু এলাকায় আমরা শ্যালো বসিয়ে, নলকূপ বসিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এরপরে টাকা পেলে ফের জলসঙ্কট সমাধানের কাজ করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement