জল, আলো ছাড়াই দুর্ভোগের ১২ ঘণ্টা

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না ব্লকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তমলুক থেকে ময়না উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন (৩৩ কেভি)  বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। তমলুক থেকে ওই বিদ্যুতের লাইন কাঁসাই নদী পার হয়ে ময়না ব্লকের সাব-স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়না শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৩
Share:

ভেঙে পড়েছে গাছ।—ছবি এএফপি।

শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকে হাওয়া আর বৃষ্টির দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে। আর সেই ঝড়ের দাপটেই গাছ ভেঙে পড়ে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ লাইনে। তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা ময়না ব্লক। এর ফলে রবিবার সকাল থেকে ময়না বাজার সহ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে মোবাইল পরিষেবা বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না ব্লকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তমলুক থেকে ময়না উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন (৩৩ কেভি) বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। তমলুক থেকে ওই বিদ্যুতের লাইন কাঁসাই নদী পার হয়ে ময়না ব্লকের সাব-স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শনিবার গভীর রাতে তমলুক থেকে ময়না সাব স্টেশনের মাঝে ময়না-১ পঞ্চায়েতের বাঁশদা গ্রামের কাছে বিদ্যুতের লাইনে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ায় দুটি বিদ্যুতের খুঁটি সহ তার ছিঁড়ে যায়। ফলে তমলুক থেকে ময়না ব্লকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রধান বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ৮০টিরও বেশি গ্রাম পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে যায়। বিদ্যুতের অভাবে বিপাকে পড়েন ব্লকের সমস্ত বাসিন্দা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা টহল দেওয়ার সময় বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা নজরে আসে। ঝড়ের দাপট কিছুটা কমার পরেই শনিবার ভোররাত থেকে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ মেরামতি সম্পূর্ণ হওয়ার পর ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

প্রায় ১২ ঘণ্টা ময়না বিদ্যুৎবিহীন থাকায় পানীয়জল, মোবাইল পরিষেবা বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ। ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুতের লাইনে পড়ায় ময়নার সাব স্টেশনের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হওয়ায় ব্লকে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ফলে পানীয় জল সরবরাহ, মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ দফতর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও কিছু এলাকায় তার ছিঁড়ে থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামলকুমার হাজরা বলেন, ‘‘ঝড়ে গাছ ভেঙে ময়না ব্লকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী উচ্চ ক্ষমতার লাইনে পড়ায় তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। তবে দ্রুত লাইন মেরামতি করে রবিবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন