হাতেকলমে ফটোগ্রাফির পাঠ দিতে স্টুডিও

‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ’-এর সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছিল আগেই। তবে এতদিন কলেজের ভিতরে স্টুডিওর তেমন কোনও পরিকাঠামো ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ১৩:৪৩
Share:

সূচনা: ফিল্ম স্টুডিও-র উদ্বোধনে শ্যামপদ পাত্র। নিজস্ব চিত্র

‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ’-এর সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছিল আগেই। তবে এতদিন কলেজের ভিতরে স্টুডিওর তেমন কোনও পরিকাঠামো ছিল না। ফলে, সমস্যায় পড়তেন পড়ুয়ারা। অবশেষে স্টুডিও তৈরি হল মেদিনীপুর কমার্স কলেজে। সেখানেই হাতেকলমে ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি শিখতে পারবেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার স্টুডিওটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার, কলেজের অধ্যক্ষ দুলালচন্দ্র দাস প্রমুখ। কলেজ- কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলার কোনও কলেজে এমন স্টুডিও এই প্রথম। কোর্সের কো- অর্ডিনেটর সৌমেন্দু দে বলছিলেন, “আপাতত কলেজের একটি ঘরে স্টুডিওর পরিকাঠামো তৈরি করা হল। পরে পরে পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হবে।”

Advertisement

মেদিনীপুরের মতো মফস্‌সল শহরে কলেজের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির বিশিষ্টজনেরা। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুরদার যেমন বলেন, “এক হাজার কিলোমিটার দৌড়েও প্রথম কদমটাই জরুরি। মেদিনীপুরের এই কলেজ যে ভাবে এগোচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। মফস্‌সলে এতটা সচেতনতা সকলের মধ্যে থাকে না।”

কলেজ-কর্তৃপক্ষের দাবি, মাস কয়েক আগে নাক-এর পরিদর্শক দলও এমন কোর্স চালুর প্রশংসা করে গিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ দুলালচন্দ্র দাস জানালেন, এই সার্টিফিকেট কোর্স তাঁদের কলেজেই প্রথম শুরু হয়। নাক-এর দল এসে ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ’- বিভাগকে এক ঘন্টারও বেশি সময় দিয়েছিল। পরে ইউজিসি-র কাছে নাক প্রস্তাব দিয়েছে, গোটা দেশেই যেন ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ’-এর কোর্স ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পাঠ্যক্রমে রাখা হয়। অধ্যক্ষ দুলালবাবুর কথায়, “বিএ, বিএসসি পাশ করে সকলে সরকারি চাকরির জন্য ছুটে বেড়ায়। কিন্তু বিকল্প পেশায় গিয়েও রোজগার করা যায়। অভিনয় শেখা থাকলে, ক্যামেরার কাজ জানা থাকলে ভাল রোজগার করা যায়।”

Advertisement

একই মত জেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের। তিনি বলেন, “মেদিনীপুরেও তো এমন খুদে সঙ্গীতশিল্পী রয়েছে, যে একটা অনুষ্ঠান করতে ৭৫ হাজার টাকা নেয়। অর্থাৎ, গান-বাজনা-অভিনয় করেও রোজগার করা যায়।” কমার্স কলেজের অধ্যাপক বিবেকানন্দ দাস মহাপাত্রেরও মত, “এখন গতানুগতিকতার বাইরে বিকল্প রোজগারের অনেক পথ রয়েছে। এই কোর্স অন্তত একটা রাস্তা খুলে দিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন