Child Marriage Prevention

মেদিনীপুরে প্রশাসনের তৎপরতায় আটকাল দশম শ্রেণির এক নাবালিকার বিয়ে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলার এক পাত্রের সঙ্গে। সোমবার ছিল বিয়ের দিন। ইতিমধ্যে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন শেষ হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২৩:২৭
Share:

ফের এক নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন। — নিজস্ব চিত্র।

ফের এক নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি থানা এলাকায় বন্ধ হল এক দশম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলার এক পাত্রের সঙ্গে। সোমবার ছিল বিয়ের দিন। ইতিমধ্যে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে চলছিল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসন ও কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ পৌঁছোয় ঘটনাস্থলে। তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং বোঝায় ১৮ বছরের কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবার প্রথমে কিছুটা অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও পরে প্রশাসনের সচেতনতার কথা শোনে এবং বিয়ে বাতিলে সম্মতি জানায়।

মেয়েটির পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশাসনের তরফে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়। নাবালিকার পরিবার মুচলেখা দেয় মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ের ব্যাপারে কোনও ভাবে উদ্য়োগী হবে না।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন নাবালিকা বিয়ে রোধ করতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। প্রচারের পাশাপাশি হেল্পলাইন চালু করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে নাবালিকা বিয়ে রোধে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি (শর্ট ফিল্ম) প্রতিযোগিতার। স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা যেমন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির মূল উদ্দেশ্য হল জনসাধারণের মধ্যে নাবালিকা বিয়ে রোধে সচেতন তৈরি করা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement