Mandarmani Murder

ট্রলিব্যাগে প্রেমিকার দেহ নিয়ে ২০০ কিমি পাড়ি, পরে সমুদ্রপারে মদ্যপান! নয়া তথ্য মন্দারমণি রহস্যে

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নদিয়ার যুবতীকে খুনের পরিকল্পনা করে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন তাঁর প্রেমিক। তিনি সম্পর্কে যুবতীর দিদির দেওর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রেমিক ও দিঘার এক হোটেলকর্মী। তাঁদের জেরা করে খুনে জড়িত আরও এক জনের হদিস পেয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ। সেই যুবককে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম তাপস জানা। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণী খুন হয়ে যাওয়ার পর তাঁর দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে আসা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সব পরিকল্পনাই তাপস করেছিলেন। তাঁকে শনিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নদিয়ার যুবতীকে খুনের পরিকল্পনা করে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন তাঁর প্রেমিক। তিনি সম্পর্কে যুবতীর দিদির দেওর। নিজের বাড়িতেই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন যুবক। খুনের পর খবর দেন অন্য দুই অভিযুক্তকে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, তরুণী দেহ ট্রলিব্যাগে করে নিয়ে মন্দারমণি নিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিলেন তাপসই। সেই ভাবেই বাইকে করে ২০০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে চাঁদপুরের সমুদ্র সৈকতে দেহ আনা হয়। সেখানে তিন জনে একসঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বসে মদ খান। পরে ভোরের আলো ফোটার আগে নির্জন এলাকা দেখে পাথরের উপর দেহ ফেলে রেখে যান তাঁরা।

তদন্তকারীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পর প্রেমিক যুবক যা যা করেছেন, সবই তাপসের বুদ্ধি ছিল। তাপসের কথাতেই চাঁদপুর থেকে তাহেরপুরে তরুণীর বাড়িতে উঠেছিলেন প্রেমিক। পরে সেখান থেকেও পালিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রেমিক গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাপস ট্রেনে করে কেরলে গা ঢাকা দেন। সেখান থেকেই এক বন্ধুর মারফত তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছিলেন তিনি। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার হতে হল। পূর্ব মেদিনীপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিঅ্যান্ডটি) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রধান অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রয়োজনে অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন