Soumendu Adhikari

কাঁথি থানায় সকাল ১০টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ সৌমেন্দুকে, কোর্টের নির্দেশ অমান্য হচ্ছে, দাবি আইনজীবীর

পথবাতি দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আর এ নিয়ে থানার বাইরে অভিযোগ করলেন সৌমেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৯
Share:

পথবাতি দুর্নীতি মামলায় কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। —ফাইল চিত্র।

কাঁথি থানায় ঢুকেছিলেন শুক্রবার সকাল ১০টায়। তার পর পাঁচ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। পথবাতি দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আর এ নিয়ে থানার বাইরে সৌমেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে পুলিশ। কারণ, কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দু’ঘণ্টার বেশি তাঁর মক্কেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে কাঁথি থানায় যান সৌমেন্দু। একাধিক মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সারদার নথি উধাও সংক্রান্ত অভিযোগ, পুরসভার ত্রিপল-দুর্নীতি, শ্মশান-দুর্নীতি ইত্যাদি। তবে সৌমেন্দুর আইনজীবীর দাবি, শুধুমাত্র পথবাতি মামলায় সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে সৌমেন্দু থানায় হাজির হয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওঁকে সকাল ১০টার সময় আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আগেই পৌঁছে যান। আদালতের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) আশ্বস্ত করেছিলেন, সৌমেন্দুকে দু’ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। কিন্তু দু’ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও দেখছি ছাড়ছে না।’’ তাই আদালতের নির্দেশে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।

প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার পথবাতি লাগানোকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে বড়সড় গরমিলের অভিযোগ ওঠে। রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয়, জেলা প্রাশাসন এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেত আগরওয়াল, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিংহলের কমিটি তদন্ত করে। ওই মামলায় কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তবে এ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধুনা বিজেপি নেতা। আদালত নির্দেশ দেয়, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না। তবে তাঁকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন