গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম চার

দলে কোন্দল ঠেকাতে মঙ্গলবারই বেলদায় কমিটি গঠন হয়। পরদিন বুধবারই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বেলদার তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁশদা গ্রাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:৩০
Share:

দলে কোন্দল ঠেকাতে মঙ্গলবারই বেলদায় কমিটি গঠন হয়। পরদিন বুধবারই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বেলদার তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁশদা গ্রাম। এ দিনের ঘটনায় ৪ জন জখম হন। তাঁদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা চলাকালীন শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। ঘটনার কারণ জানতে তৃণমূলের ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তারপরে ফের এ দিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জেলা কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট ও দলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দর অনুগামী হিসেবে পরিচিত সমর্থকরা। সোমবারের পঞ্চায়েতের সাধারণ সভার গোলমালের বিষয় নিয়েই বুধবার তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে বলে অভিযোগ। বচসা ক্রমে হাতাহাতির আকার নেয়।

Advertisement

জেলা কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট বলেন, “কৌসর আলির লোকেরা আঁশদা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য কাইসারি বিবির বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সময়ে গ্রামবাসীরা প্রতিহত করায় সংঘর্ষ হয়েছে।” পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মিহির চন্দের অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি কৌসর আলি বলেন, “হরিপুর থেকে সূর্য বারিক-সহ দলের দুই কর্মী খাকুড়দায় যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে সূর্য অট্টের হাত ধরে সিপিএম থেকে আমাদের দলে আসা সুব্রত অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁদের মারধর করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনার কথা উল্লেখ করেই ওরা আমাদের দুই কর্মীকে মারধর করেছে।” যদিও ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন