Rail Bridge

বন্ধ রেলসেতু নিয়ে কাজিয়া বাম-গেরুয়ার

সোমবার খড়্গপুরের ওল্ড সেটলমেন্টে বিজেপির মধ্য মণ্ডলের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। মূলত শহরের টাউন থানা সংলগ্ন রেল সেতু নিয়েই ছিল এই বৈঠক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তিন বছর ধরে বন্ধ জীর্ণ রেল সেতু। ভোগান্তিতে শহরবাসী। বারবার দাবি জানিয়েও নতুন করে রেলসেতু নির্মাণের কাজ হয়নি। এখন ভোটের আগে সেই রেল সেতু নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি সেতু তৈরির দাবিতে গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করে ‘আমরা বামপন্থী’ সংগঠন। এ বার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হতে চলায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করল বিজেপি।

Advertisement

সোমবার খড়্গপুরের ওল্ড সেটলমেন্টে বিজেপির মধ্য মণ্ডলের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। মূলত শহরের টাউন থানা সংলগ্ন রেল সেতু নিয়েই ছিল এই বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির খড়্গপুর শহর বিধানসভা আহ্বায়ক অভিষেক আগরওয়াল, শহর মধ্য মণ্ডলের সভাপতি শ্রী রাও প্রমুখ। এ দিন তাঁরা দাবি করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের নির্দেশে এই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন। কারণ, শহরে রেলের এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গিরি ময়দান উড়ালপুল, রামমন্দিরের রাস্তার মতো নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন তাঁরা। এমনকি, খড়্গপুরের এই টাউন থানা সংলগ্ন সেতুর নির্মাণ কাজও শুরু হতে চলেছে। সেই কাজেও দিলীপ ও বিজেপির ভূমিকা যে যথেষ্ট তা স্পষ্ট করতেই ছিল এই সাংবাদিক বৈঠক।

গত শনিবার টাউন থানা সংলগ্ন এলাকায় এই সেতু নির্মাণের দাবিতে সই সংগ্রহ অভিযান চালায় ‘আমরা বামপন্থী’। এই দাবিপত্র সোমবার থেকেই রেল বোর্ড, ডিআরএম, সাংসদ-সহ বিভিন্ন মহলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিল তারা। এর পরেই রেলের পক্ষ থেকে সিনিয়ার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার(পশ্চিম) দাবি করেন, এই সেতুর নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তার পরেই এ দিন বিজেপির এই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিন বিজেপির শহর বিধানসভা আহ্বায়ক অভিষেক বলেন, “ডিআরএম বলেছেন এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সেতুর কাজ শুরু হবে। এই সেতু নিয়ে অনেক দাবি ছিল। এখন দেখছি বামপন্থীরা সই সংগ্রহ অভিযান করছে, তৃণমূলও তাঁদের কৃতিত্ব দাবি করবে। রেল কোনও কাজ না করলে বিজেপি দোষী হয়। তাই কাজ হলেও তার কৃতিত্ব বিজেপিকে দেওয়া উচিত।”

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে আমরা বামপন্থী সংগঠনের নেতা অনিল দাস বলেন, “তিন বছর আগে সেতু যখন বন্ধ হয় তখন প্রথম আমরাই আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তখন বিজেপি কোথায় ছিল। এখন আমরা গণসাক্ষর সংগ্রহ হওয়ার পরে রেল যদি সেতু হবে বলে তবে তার পুরো কৃতিত্ব আমাদের। আর যদি বিজেপি এর কৃতিত্ব দাবি করে তবে গত তিন বছরে মানুষের দুর্ভোগের দায়ও বিজেপিকে নিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন