৫টি লাল খাবারেই লুকিয়ে হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখার চাবিকাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্যন্ত্রের খেয়াল রাখা সহজ নয়। নিয়ম মেনে না চললে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে তখনই, যখন ডায়েটেও ভারসাম্য বজায় থাকে। হার্টের অসুখ ঠেকাতে গেলে জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, একই সঙ্গে খাওয়াদাওয়াতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। শুধু তেল, ঘি, মশলা, মাখন খাওয়া বাদ দিলেই চলবে না। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়বে কোন খাবারগুলি খেলে, সেগুলিও জেনে রাখা জরুরি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরচর্চার যেমন প্রয়োজন, তেমনই দরকার বুঝেশুনে খাওয়াদাওয়া করা। সেটা না করতে পারলে কোনও ভাবেই হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখা যাবে না। ডায়েটে ৫টি লাল ফল রাখতে পারলে হৃদ্যন্ত্র থাকবে সুস্থ, ঝুঁকি কমবে হার্ট অ্যাটাকের।
চেরি: এই ফলে অ্যান্থোসিয়ানিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা শরীরে প্রদাহ আর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই দুইয়ের মাত্রা বাড়লেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া চেরি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।
স্ট্রবেরি: এই ফলে পলিফেনল আর ভিটামিন সি থাকে ভরপুর মাত্রায়। এই দুই উপাদান রক্তনালিকাগুলিকে সংকুচিত হতে বাধা দেয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সপ্তাহে অনন্ত এক বার পর্যাপ্ত মাত্রায় স্ট্রবেরি খেলে হৃদ্রোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।
শুধু তেল, ঘি, মশলা, মাখন খাওয়া বাদ দিলেই চলবে না, হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়বে কোন খাবারগুলি খেলে, সেগুলিও জেনে রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ়বেরি: এই ফলে অ্যান্থোসিয়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড আর ফাইবার থাকে ভাল মাত্রায়। এই সব উপাদান প্রদাহ আর অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এই ফল রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে।
টম্যাটো: এতে থাকা লাইসোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হৃদ্যন্ত্র চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। টম্যাটো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
বেদানা: এতে থাকা পলিফেনল আর পুনিক্যালাজিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তজালিকাগুলিকে শক্ত হতে বাধা দেয়। শরীরে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে।