তৃণমূল এবং সিপিএমের দেওয়াল লিখন শুরু। হলদিয়ায়। নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী কে হবেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি বাম, তৃণমূল এবং বিজেপিতে। তা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই দেওয়াল লিখনের জন্য দেওয়াল দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে যুযুধান সব দল।
প্রার্থী ঠিক না হওয়ায় মিটিং-মিছিল এখনও শুরু না হলেও দেওয়াল লিখনে নেমে পড়েছে বাম থেকে তৃণমূল সকলেই। শিল্প শহর হলদিয়ায় রবিবার লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়া লিখন। দেওয়াল দখলে কোন দল বেশি এগিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই টক্কর।
সোমবার সকালে দেখা গেল, শিল্পশহরের একাধিক জায়গায় কোথাও প্রতীক-সহ কোথাও প্রতীক ছাড়াই তৃণমূলের সমর্থনে দেওয়াল লিখন চলছে। হলদিয়ার সিটি সেন্টার এলাকায় শিল্পাঞ্চলে আরও বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে এবং রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লিখন হচ্ছে। শহরের তৃণমূল নেতা তথা পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান বলেন, ‘‘প্রার্থী যেই হোন, তিনি তো তৃণমূল পরিবারেরই। তাই দলের প্রতীক এঁকে পুরো দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ করছি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই পরে তা দেওয়া হবে।’’
হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার বিধানসভা এখনও সিপিএমের দখলে। তাই লোকসভা ভোটের দেওয়াল লিখনে পিছিয়ে নেই তারাও। হলদিয়া ব্লকের ব্রজলালচক, দেউলপোতা সহ একাধিক জায়গায় বামদের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন দলের কর্মীরা।
সূত্রের খবর, এখনও তমলুক লোকসভা আসনে প্রাথী ঘোষণা করেনি রাজ্য বাম নেতৃত্ব। তাই প্রার্থীর নাম লেখা নিয়ে ধন্দে তাঁরাও। জেলা সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শ্যামল কুমার মাইতি বলেন, ‘‘প্রার্থী ঠিক হয়নি বলে তাঁর নামের জায়গা টুকু ফাঁকা রাখা হচ্ছে। বাকি দেওয়াল লিখন শেষ করে ফেলা হচ্ছে।’’ তবে তৃণমূল, বামেদের সঙ্গে দেওয়াল দখলের লড়াইয়ে এখনও পিছিয়ে বিজেপি। বন্দর শহরের কোথাও এখনও তাঁরা দেওয়াল লিখন শুরু করেননি বলে বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস কুমার রায় বলেন, ‘‘আক্ষরিক অর্থে কোনও রাজনৈতিক দল এখনও প্রচার শুরু করেনি। কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে দেওয়াল লিখন করছে। আমাদের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কিছুই সম্ভব নয়।’’
কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থ বটব্যাল বলেন, ‘‘প্রদেশ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ এলেই দেওয়াল লিখন, মিটিং-মিছিল শুরু করা হবে।’’