Khejuri

মৃতদেহ উদ্ধারে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

সিপিএম সূত্রের খবর, দেবকুমার তাদের সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে এলাকার বাইরে থাকতেন। বছর দুয়েক আগে বাড়ি ফিরে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৪:১৪
Share:

খেজুরিতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র

সিপিএম কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে চাপানউতোর।

Advertisement

গত রবিবার খেজুরি-২ ব্লকের বারাতলা থেকে দেবকুমার ভূঁইয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল খেজুরি থানার পুলিশ। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি সিপিএম কর্মী। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে সিপিএম। দেবকুমারের দেহ ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাত থেকে বহুক্ষণ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পড়ে ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। সোমবার দুপুরে মৃতের স্ত্রী শ্রীমতী ভূঁইয়া মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান বলে পুলিশের দাবি।

দলীয় কর্মীকে খুনের অভিযোগে এ দিন খেজুরির কুঞ্জপুর থেকে বিদ্যাপীঠ এবং তল্লা থেকে কলাগেছিয়া পর্যন্ত দুটি মিছিল করেন সিপিএম কর্মীরা। হলদিয়া দক্ষিণ এরিয়া কমিটির উদ্যোগেও ক্ষুদিরামনগরে একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রবিরারে ওই ঘটনার পরে প্রথমে ওই কর্মীর পরিবারের লোকেদের পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাসের অভিযোগ, ‘‘খুনের ঘটনা পুরোপুরি ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ। কেউ যাতে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে না পারে, মৃত কর্মীর পরিবারের লোকেদের ধারেপাশে তাই ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ হিমাংশুর কথায়, ‘‘মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পর এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন করার জন্য মানবাধিকার কমিশনে যাব।’’

Advertisement

সিপিএম সূত্রের খবর, দেবকুমার তাদের সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে এলাকার বাইরে থাকতেন। বছর দুয়েক আগে বাড়ি ফিরে ছিলেন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের আগে পুনরায় রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। শনিবার ওই মামলার শুনানির জন্য কাঁথি মহকুমা আদালতে গিয়েছিলে। তারপর ওই সিপিএম কর্মী বাড়ি ফিরে গিয়েছিল বলে পার্টির নেতৃত্বের দাবি। তার পরেই রবিবার তাঁ মৃতদেহ পাওয়ায় যায়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ওই বারাতলা এলাকাতেও এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়কের অভিযোগ, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও রকম বিরোধী রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গোটা এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রাখার চেষ্টা সব সময় চালিয়ে যাচ্ছে শাসকদল।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম মণ্ডল বলেন, ‘‘সকলেই বাড়িতে রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকে নিজেদের জনমত জানানোর সুযোগ পেয়েছে। তার পরেও অহেতুক মিথ্যা প্রচার করছে।’’

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন