Khirpai Hospital

রোগী ভর্তি করাতে এলে নিজস্ব পাখা নিয়ে আসুন! হাসপাতালের বাইরের পোস্টারে হইচই ক্ষীরপাইয়ে

পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। যদিও হাসপাতালের তরফে এমন কোনও পোস্টার লাগানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্ষীরপাই শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৮
Share:

রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পাখা নেই। নিজস্ব চিত্র।

রোগী ভর্তি করাতে এলে রোগীর পরিবারের সদস্যরা যেন অবশ্যই সঙ্গে করে পাখা নিয়ে আসেন! গরমের তীব্র দাপটের মধ্যে এমনই নির্দেশ দিয়ে পোস্টার পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরের সেই পোস্টারে লেখা, ‘‘ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।’’ এই পোস্টারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। যদিও হাসপাতালের তরফে এমন কোনও পোস্টার লাগানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছেন, তার খোঁজ করতেও শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের ওই হাসপাতালটির মাথায় টিনের চাল রয়েছে। ৬০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তীব্র গরমের কারণে পাখার বাতাস কম বলে মনে হতেই পারে। কোনও জায়গায় অতিরিক্ত পাখা লাগানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখে সেখানে পাখা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পাখার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পাখা নেই। পাখা না থাকার কারণে গরমে রোগীরা হাঁসফাঁস করছেন। বাড়ি থেকে পাখা এনে কাজ চালাতে হচ্ছে।’’ তীব্র গরমের জন্যই হাসপাতালের বেহাল পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে বলেও রোগীর আত্মীয়দের দাবি।

Advertisement

হাসপাতালের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার (বিএমওএইচ) নিরঞ্জন কুতি বলেন, ‘‘প্রথম থেকে হাসপাতালে যতগুলো পাখা লাগানো হয়েছিল, তার সবকটাই ঘুরছে। অতিরিক্ত কিছু পাখা যদি লাগানো যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে পোস্টার সম্পর্কে কিছু জানা নেই।’’

পোস্টারকাণ্ড প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘‘এখনও এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানাননি। বিষয়টি আমি শুনেছি। বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীদের কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্য দ্রুত পাখার ব্যবস্থা করতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন