পরীক্ষার দিনে কলেজ-গেটে প্রতিবাদ, হাজির পুরপ্রধানও

হলদিয়ার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই কলেজে পরীক্ষা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৮
Share:

কলেজের সামনে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ।

কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসের মধ্যেই অসামাজিক কাজকর্ম করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অভব্য আচরণও করেন। এই অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দরজা আটকে প্রতিবাদ সভা করলেন বাসিন্দারা।

Advertisement

হলদিয়ার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই কলেজে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর আগেই কলেজে গেটে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম কলোনি ও গাঁধীনগর এলাকার বাসিন্দারা উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক বৃন্দের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ সভায় আয়োজন করেছিলেন। সভায় ছিলেন হলদিয়ার পুরচেয়ারম্যান শ্যামল আদক, পুর পারিষদ আজিজুর রহমান।

সকাল ৮টা থেকেই কলেজের গেট বন্ধ করে চলে বিক্ষোভ। প্রথমে কোনও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা রয়েছে জানতে পেরে অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীরা। সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রতিবাদ সভা শেষ হয়। তারপরে গেট খুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

সপ্তাহ খানেক আগেই ওই কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ব্যবহার হয় ওই দিন। আহত হয়েছিল তিন পুলিশ কর্মী। এরপর থেকে এখনও এলাকা থমথমে রয়েছে।

এ দিনের প্রতিবাদ সভা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের সেক্রেটারি আশিস লাহিড়ী বলেন, ‘‘অরাজকতা চলছে। এই ভাবে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা আটকে প্রতিবাদ সভা করা হয়, তা হলে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ভুল বার্তা যাবে। সমস্ত ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে কলেজের পক্ষ থেকে। কিন্তু পড়াশোনার পরিবেশ যেন না খারাপ হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। সমস্ত ব্যাপারে যদি জন প্রতিনিধিরা এসে মাথা ঘামান তাহলে শিক্ষার পরিবেশ আদৌ বজায় রাখা যাবে?’’ একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও পরীক্ষার দিন কলেজের পঠনপাঠন আটকে এভাবে বিক্ষোভে যোগ দিলেন কেন?

পুরপ্রধানের জবাব, ‘‘অশান্তি আগেও হয়েছিল। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম আটকানোর বিরোধী। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যদি পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে তো পদক্ষেপ করতেই হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কলেজ ও স্থানীয় ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করে দু-পক্ষকে আলোচনায় বসার আবেদন রাখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন