জমায়েত: বিজেপির সভায় শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি-র ‘জনজাগরণ যাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে বিনপুরের শিবমন্দির মাঠে সভার আয়োজন হয়েছিল শুক্রবার। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ ও রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি-র দাবি, ঠাসাঠাসি ভিড়ে সব মিলিয়ে হাজার সাতেক লোক হয়েছিল। অনেকে মাঠে জায়গা না পেয়ে চারপাশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন।
এ দিনের ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত রাহুলবাবু বলেন, “জঙ্গলমহলে তৃণমূলের মহাপ্রস্থান যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলমহলের প্রতিটি বুথে এখন আমাদের মজবুত সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছে।” আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে এক ইঞ্চিও মাটি ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন রাহুলবাবু।
এদিনের রাহুল আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে জনপঞ্জিকরণ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রাহুলবাবু বলেন, “উনি দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা উচিত।” পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাহুল সিংহ বলেন, যাঁরা শাসকদলের মাত্রাছাড়া তাঁবেদারি করছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে উর্দি খুলিয়ে তাঁদের জন আদালতে বিচার হবে। তবে ওঁরা রং পাল্টাতে ওস্তাদ। যেই বুঝবে পদ্মফুলের গন্ধ আসছে, ওমনি সব রাতারাতি বিজেপির হয়ে যাবে।”
বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট বলেন, “জঙ্গলমহল তৃণমূলের সম্পত্তি নয়। মার খেতে খেতে আমরাও ওদের কৌশল শিখে গিয়েছি। আমরাও বোমা বাঁধতে পারি, গাড়ি পাংচারও করতে পারি। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।” এ দিনের সভায় হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ঝুমা মণ্ডল-সহ বেশ কিছু শাসক সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। এ ছাড়া সিপিএমেরও কিছু কর্মী-সমর্থক এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “পঞ্চায়েতস্তরের সীমাহীন দুর্নীতি এবং শাসকদলের স্বজনপোষণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ এখন আমাদের সমর্থন করছেন। জঙ্গলমহলে পরিবর্তনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে।”