বিক্ষোভ: ট্রেন অবরোধ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
রেললাইনের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল পাঁশকুড়ায়। সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার নারায়ণ পাকুড়িয়া মুড়াইল স্টেশনের ঘটনা। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সবেরা বিবি (৫৬)। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা সকাল পৌনে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা আপ লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। রেলপুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার বাড়ি তমলুকের দরজা গ্রামে। তিনি নারায়ণ পাকুড়িয়া মুড়াইল গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সকাল ৯টা নাগাদ মেচেদা স্টেশনে যাওয়ার ট্রেন ধরতে লাইনের পাশের রাস্তা ধরে নারায়ণ পাকুরিয়া মুড়াইল স্টেশনে যাচ্ছিলেন তিনি। স্টেশনের অদূরে রাস্তার উপর রাখা রেলের স্লিপার পার হওয়ার সময় তাঁকে হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী লোকাল ট্রেন ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই সবেরা বিবির মৃত্যু হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেললাইনের কাজ শেষ হয়ে গেলে স্টেশনে যাতায়াতের পথে লাইনের ধারে রাস্তার উপর স্লিপার ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে মাস কয়েক ধরেই স্টেশনে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে যাত্রীদের। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ দিণ্ডা, ওহিদুল ইসলামদের অভিযোগ, রেললাইনের কাজের সুবিধার জন্য রাস্তার উপর স্লিপার ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় চার মাস আগে লাইনের কাজ শেষ হয়ে গেলেও স্লিপার সরানো হয়নি। ফলে স্টেশনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তার উপর রাখা স্লিপার পার হতে গিয়েই এ দিনও দুর্ঘটনা ঘটে।
এলাকার বাসিন্দারা আপ লাইনে অবরোধ করলে হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী একাধিক লোকাল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। পাঁশকুড়া থেকে রেল পুলিশবাহিনী এলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় অবরোধকারীরা। অবরোধকারীরা রেল লাইনের ধারের রাস্তায় ফেলে রাখা স্লিপার সরানোর দাবি জানান। রেলপুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে পৌনে ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রেলপুলিশের অবশ্য দাবি, দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা কিছুক্ষণের জন্য আপ লাইন অবরোধ করলেও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রেলপুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগও ঠিক নয়।