উন্নয়নে সাংসদদের পাশে চায় রেল

স্টেশনের উন্নয়নে সাংসদদেরও সহযোগিতা চায় রেল। শুক্রবার খড়্গপুরে এসে এ কথা জানান দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এস এন অগ্রবাল। সাধারণত, স্টেশনের উন্নয়নে রেলই অর্থ বরাদ্দ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১২
Share:

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম (বাঁ দিকে) ও খড়্গপুরের ডিআরএম। নিজস্ব চিত্র।

স্টেশনের উন্নয়নে সাংসদদেরও সহযোগিতা চায় রেল। শুক্রবার খড়্গপুরে এসে এ কথা জানান দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এস এন অগ্রবাল। সাধারণত, স্টেশনের উন্নয়নে রেলই অর্থ বরাদ্দ করে। আগেই কেন্দ্র জানিয়েছে, স্টেশনের উন্নয়নে সাংসদেরা অর্থ সহযোগিতা করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে উন্নয়নে আরও গতি আসবে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংসদেরা তাঁদের তহবিল থেকে এখনও পর্যন্ত স্টেশন উন্নয়নে অর্থ সহযোগিতা করেননি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “কিছু স্টেশনে যাত্রীদের বসার বেঞ্চ বাড়ানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সাংসদেরা অর্থ সহযোগিতা করতে পারেন। আমি এই এলাকার সাংসদদের সঙ্গে কথা বলব। ওঁদের অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করব।”

Advertisement

এ দিন খড়্গপুর-ভদ্রক শাখায় বার্ষিক পরিদর্শন সারেন জেনারেল ম্যানেজার। বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি বলেন, “স্টেশনের পরিস্থিতি ভালই। গত এক-দেড় বছরে অনেক কাজ হয়েছে। যাত্রীরা সন্তুষ্ট।” লোকাল ট্রেনগুলোয় বগির সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি, রেলের জমি দখল করার চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেনারেল ম্যানেজার।

খড়্গপুর-ভদ্রক শাখার মধ্যে তিনটি রাজ্যের এলাকা রয়েছে— পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা। স্থানীয় সমস্যার সমাধানে কি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে রেল? জেনারেল ম্যানেজারের জবাব, “অবশ্যই বলবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলা হবে। রাজ্যের সহযোগিতা চাওয়া হবে।”

Advertisement

এ দিন জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে কিছু দাবি জানান নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু। দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার। বেলদা-হাওড়া লোকাল বাঁচাও ও যাত্রী সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকেও জেনারেল ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কমিটির দাবি, হাওড়া থেকে ফেরার সময় লোকাল ট্রেনকে সরাসরি বেলদায় পৌঁছতে হবে, জনশতাব্দী এক্সপ্রেসকে বেলদায় দাঁড় করাতে হবে, একটি দিল্লিগামী ট্রেন এবং একটি চেন্নাইগামী ট্রেনকে বেলদায় দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কমিটির পক্ষে রামলাল রাঠী বলেন, “জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, দাবিগুলো খতিয়ে দেখে রেল পদক্ষেপ করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement