Rotten Meat

অভিযানে বাসি মাংস, রেস্তরাঁ সিল এগরায়

এ দিন সকালে এগরা পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর বেরার নেতৃত্বে হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে হানা দেন পুরআধিকারিকেরা। মোট সাতটি হোটেলে চলে তল্লাশি অভিযান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০০:৪৮
Share:

পরিদর্শন: হোটেলে পুর আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে এবার এগরায় বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্তরাঁয় অভিযান শুরু করল পুরসভা। শনিবার ওই অভিযানে বেনিয়মের অভিযোগে এগরা-দিঘা মোড়ের একটি হোটেল সিল করেন পুর আধিকারিকেরা।

Advertisement

এ দিন সকালে এগরা পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর বেরার নেতৃত্বে হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে হানা দেন পুরআধিকারিকেরা। মোট সাতটি হোটেলে চলে তল্লাশি অভিযান। বেশ কয়েকটি হোটেল থেকে বাসি মাছ, মাংস এবং বিরিয়ানি বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকেরা। ওই সব হোটেলগুলির মালিকদের সতর্ক করেন তাঁরা। পাশাপাশি, আগামী দিনে যাতে কোনও রকমের বাসি খাবার এবং মরা মুরগির মাংস হোটেলে না থাকে, সে জন্য পুরসভার অঙ্গীকার পত্রে সই করেন হোটেল মালিকেরা।

অভিযানে এগরা-দিঘা মোড়ের একটি হোটেলে বেশ কয়েকটি প্যাকেটের মধ্যে দু’তিন দিনের পচা মাছ এবং সংরক্ষণ করা খাবারের উচ্ছিষ্ট মাংস উদ্ধার হয়। কেন উচ্ছিষ্ট খাবার এবং পচা মাছ ফ্রিজে রাখা হয়েছে, সে নিয়ে পুর আধিকারিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি হোটেল মালিক অসিত দাস। এর পরেই পুর প্রধান এবং আধিকারিকদের নির্দেশে হোটেলটি সিল করে দেয় পুরসভা। আপাতত বন্ধ রয়েছে হোটেলটি।

Advertisement

এ দিকে, অন্য হোটেলেও অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে, সেই ‘ভয়ে’ একাধিক হোটেলের মালিক দোকান বন্ধ করে দেন। ফলে এ দিন মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে যায় তল্লাশি অভিযান। পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা এ দিন বলেন, ‘‘কলকাতার ভাগাড়-কাণ্ডের পরে সরকারি নির্দেশ এসেছে জেলায় প্রতিটি পুরসভায়। সেই নির্দেশ মতোই এদিনের এই অভিযান।’’

পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘এগরার মতো শহরে কোথাও রান্না করা পচা মাংস এবং ক্রেতাদের খাবারের উচ্ছিষ্ট তুলে ফ্রিজে রাখা হচ্ছে, এটা ভাবাই যায় না। একটি হোটেলকে আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন