ডাকাতির পর গয়নার দোকানটিতে এসডিপিও আফজল আব্রা-সহ পুলিশকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। অভিযোগ, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বন্দুক উঁচিয়ে তিন জন তমলুকের মিলননগরে গয়নার দোকানে ঢোকেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেন তাঁরা। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দোকানটিতে যায় তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী। তবে এখনও কাউকে ধরা যায়নি।
সপ্তাহের প্রথম দিন। তার উপর পুজোর মরসুম। সকাল থেকেই তমলুকের মিলনগরের রাস্তায় যথেষ্ট ভিড় ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে একটি স্কুটার নিয়ে তিন জন মিলননগরের গয়নার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান। তাঁদের সকলের মুখ ঢাকা ছিল কাপড়ে। দু’চাকার যান থেকে নেমেই আগ্নেয়াস্ত্র বার করে ঢুকে পড়েন অলঙ্কারের দোকানটিতে। দোকানের লকার খুলে ঝটপট কিছু গয়না ব্যাগে ঢোকান। লুট করেন নগদ টাকাও। ওই দোকানের মালিক এবং কর্মীদের দাবি, সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি টাকার জিনিস নিয়ে গিয়েছে ডাকাতদল। আর দোকান ছাড়ার সময় কর্মচারীদের হাত-পা এবং মুখ বেঁধে রেখে যান তিন জন। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনাটি ঘটে।
ডাকাতির খবর পেয়ে তমলুকের এসডিপিও আফজল আব্রা-সহ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
ডাকাতির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই বাজারের দোকানদারেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। তপন কর নামে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমার দোকানের সামান্য দূরেই ওই গয়নার দোকান। ওখান থেকে সকালে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পাই আমরা। গিয়ে দেখি, এক কর্মচারী মুখ গুঁজে পড়ে আছে মেঝেতে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। ঝটপট লাঠি নিয়ে ওর কাছে যাই। কিন্তু তার পর দেখি হাত-পা ও মুখ বেঁধে ওকে ফেলে রেখে গিয়েছে কেউ। বাঁধন খুলতেই জানাল, দোকানে ডাকাতি হয়েছে। তারপরেই আমরা পুলিশে খবর দিয়েছি।’’ এসডিপিও বলেন, ‘‘তিন জন স্কুটার নিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিলেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। সকলের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। বন্দুক দেখিয়ে সোনা লুট করে পালিয়েছেন তাঁরা। তবে কত টাকার গহনা লুট হয়েছে, তা লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে বলতে পারব। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’’