২৮ বছরের মেলায় এ বার আলাদা মাত্রা। উৎসাহের অন্ত নেই দাঁতনে। গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনে বৃহস্পতিবার আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
অন্যান্য বছরের মতো এ বারও স্থানীয় সরাইবাজার সংহতি ময়দানে মেলার আয়োজন করেছে দাঁতন স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। নতুন বছরের শুরুতেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন ১০দিনের মেলার উদ্বোধন করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তারপর থেকেই সাজ সাজ রব। বুধবার শেষ লগ্নে দেখা গেল প্রশাসনিক তৎপরতা। ব্যস্ত উদ্যোক্তারাও। মেলা কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা অলোক নন্দী বলেন, “এত বছরের মেলা। এই বার প্রথম রাষ্ট্রপতিকে পেলাম। একজন বাঙালী, যিনি আমাদের গর্ব। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা খুব খুশি।’’
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে দাঁতনে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁতনের বামুনপুকুরে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামার কথা সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। নামবে আরও দু’টি হেলিকপ্টার। তাতে থাকবেন রাজভবনের আধিকারিক ও রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তারক্ষীরা। ৩ কিলোমিটার সড়কপথে সংহতি ময়দানে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি।
এ দিন সকাল থেকেই বামুনপুকুর থেকে দাঁতনে ঢোকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে ঘোলাই মোড় থেকে দাঁতনে ঢোকার রাস্তা। কেউ রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে জাতীয় সড়ক থেকে দাঁতন হাইস্কুল ময়দান হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলার স্টল খোলা হচ্ছে না সকালে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়দানে মঞ্চ বড় করে গড়া হয়েছে। যদিও সেখানে ওঠার অনুমতি পাবেন মাত্র ১২-১৪ জন। প্রায় দু’হাজার পুলিশ নামানো হচ্ছে। থাকছেন সাত জন পুলিশ সুপার ও ১২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার আধিকারিক। ৩০ জনেরও বেশি ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দিকটি সরাসরি দেখভাল করবেন। কোনও সমস্যায় যদি রাষ্ট্রপতিকে সড়ক পথে ফিরতে হয়, সে জন্য ৬ ও ৬০নম্বর জাতীয় সড়কেও পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।