চণ্ডীপুরে এসএফআইয়ের পথ অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় এসএফআই’এর আইনঅমান্য কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চার্জের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করল বাম ছাত্র সংগঠন। এসএফআই ও যুব সংগঠন ডিঅয়াইএফআই সমর্থকরা এ দিন দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বাজারে দিঘা-মেচেদা সড়কে অবরোধ করে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-যুব সমর্থকদের গোলামাল বাধে বলে অভিযোগ। দুপুর ২ টা নাগাদ ছাত্র-যুব সমর্থকরা চণ্ডীপুর বাজারে দিঘা–মেচেদা সড়কে মিছিল করার পর অবরোধ শুরু করেন। মিনিট পনেরোর ওই অবরোধের জেরে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপরেই পুলিশ ওই অবরোধ তোলার চেষ্টা করতে গেলে শুরু হয় গণ্ডগোল।
অভিযোগ এই সময় মোবাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ছবি তুলছিলেন এক এসএফআই সমর্থক। এক পুলিশ কর্মী তাঁর কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে তাঁকে হেনস্থা করে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। পরে ওই যুবকের মোবাইল ফেরত দেয় পুলিশ।
চণ্ডীপুরে এদিন অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া এসএফআই জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েকের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ জোর করে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় আমাদের এক সমর্থক সেই ছবি তোলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে হেনস্থা করে।’’ চণ্ডীপুর বাজার ছাড়াও এদিন তমলুক শহরের মানিকতলা মোড়, মহিষাদলের তেরপেখ্যা মোড়ে ও হলদিয়ার সুতাহাটা বাজারে হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই সমর্থকরা। এ ছাড়া পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজার ও কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, রামনগর বাজারের দিঘা-মেচেদা সড়ক, এগরা শহরে সড়ক অবরোধ করে এসএফআই সমর্থকরা।
এগরায় এসএফআই-এর মিছিল।
নন্দকুমার বাজার ও পটাশপুরের পালপাড়া বাজারে মিছিল করে এসএফআই সমর্থকরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি পথসভা করা হয় কাঁথি শহরের বড় ডাকঘরের সামনে। শুক্রবার বিকেলে ওই পথসভায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর পুলিশের লাঠিচালনার প্রতিবাদ করে বক্তব্য রাখেন দলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি তেহেরান হোসেন, নন্দদুলাল পাত্র, তাপস মিশ্র প্রমুখ। পরে একটি মিছিল কাঁথি শহর পরিক্রমা করে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন অবশ্য বলেন, ‘‘এ দিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাম ছাত্র সংগঠনের সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ওই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।’