Flood like situation in Ghatal

আশঙ্কাই সত্যি! ষষ্ঠ বার ঘাটালে‌ বন্যা, জলের তলায় খেত থেকে রাস্তা, দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন সকলে

রবিবার সকাল থেকে প্লাবিত হতে শুরু করেছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। চাষের জমি থেকে রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে গিয়েছে। ডিভিসি-র ছাড়া জল রূপনারায়ণে মিশলে আরও কঠিন পরিস্থিতি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৩
Share:

আবার জলমগ্ন ঘাটাল। —নিজস্ব চিত্র।

আশঙ্কা সত্যি হল। আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায়। চলতি মরসুমে এই নিয়ে ষষ্ঠ বার জলে ভাসল শহর থেকে গ্রাম।

Advertisement

বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে শিলাবতী নদী। কূল ছাপিয়ে নদীর জল উঠে আসছে লোকালয়ে। রবিবার সকাল থেকে প্লাবিত হতে শুরু করেছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। চাষের জমি থেকে রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে গিয়েছে। ডিভিসি-র ছাড়া জল রূপনারায়ণে মিশলে আরও কঠিন পরিস্থিতি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বন্যার আশঙ্কা থাকছে ঘাটালের মানিককুণ্ডু, সুলতানপুর, বাঁকা, আজবনগর, মহারাজপুর ইত্যাদি এলাকায়।

ঘাটাল পুরসভার নিচু এলাকাগুলিতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। নিশ্চিন্তা, গড়প্রতাপ নগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল বাড়ায় পুরসভা এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা। শিলাবতীর জলস্তর বেড়ে জলের তলায় চলে গিয়েছে গ্রামীণ রাস্তাগুলি। জলবন্দি রাস্তা দিয়েই চলছে যাতায়াত।

Advertisement

চন্দ্রকোনাতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে গ্রামীণ রাস্তাগুলিতে জল জমেছে। দুরবস্থা প্রসঙ্গে কানাই দাস নামে সুলতানপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সোমবার লক্ষ্মীপুজো। তাই বন্যার জল পেরিয়েই পুজোর বাজার করতে যেতে হচ্ছে। জল আরও বাড়লে এ ভাবে যাতায়াত করাও সম্ভব হবে না।’’ প্রদীপ সরকার নামে আর এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘শনিবার বিকেল থেকে জল ঢুকতে শুরু করেছে চাষের জমিতে। শিলাবতীর জলে কেঠিয়া খাল উপচে এলাকায় ঢুকে পড়েছে। হাঁটুসমান জল রয়েছে রাস্তায়। সাইকেল নিয়েও যাওয়াও আর সম্ভব হচ্ছে না। তার উপরে মাঠে সব্জি, ধান নষ্ট হতে বসেছে।’’

এ বারের বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের মন্তব্য, ‘‘নদীর জল বাড়ছে। সেই কারণে শনিবার থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে। ঘাটাল পুরসভার নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।’’ তিনি জানান, এখনও ত্রাণশিবির খোলা হয়নি। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে প্রয়োজনে সেগুলি খুলে দেওয়া হবে। খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement