সিভিক-ফর্ম নিয়ে কাড়াকাড়ি

এ দিন সকালে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার সামনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বেলা যত গড়িয়েছে এঁকেবেঁকে ততই দীর্ঘ হয়েছে ফর্ম তোলার লাইন। আবেদনকারী যুবকেরা সাইকেল, মোটর বাইক নিয়ে এসে রাস্তার দু’দিকে রাখায় যানজট তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০১:৫০
Share:

সর্পিল: সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আবেদনপত্র তোলার লাইন। মঙ্গলবার মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার সামনে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ার নেওয়া যেতে পারে ১৮৬জন। কিন্তু ঠিক কতজনকে নিয়োগ করা হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। তাতে অবশ্য আবেদনকারীদের উৎসাহে ঘাটতি নেই। মঙ্গলবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আবেদনপত্র বিলি শুরু হতেই দেখা গিয়েছে লাইন। ভিড় সামলাতে হিমসিম পুলিশও।

Advertisement

এ দিন সকালে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার সামনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বেলা যত গড়িয়েছে এঁকেবেঁকে ততই দীর্ঘ হয়েছে ফর্ম তোলার লাইন। আবেদনকারী যুবকেরা সাইকেল, মোটর বাইক নিয়ে এসে রাস্তার দু’দিকে রাখায় যানজট তৈরি হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ব্যস্ত ওই রাস্তা। জট কাটাতে নাকাল হতে হয় পুলিশকে। শুধু মেদিনীপুর নয়, জেলার বিভিন্ন থানাতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। জেলার এক থানার ওসি বলছিলেন, “আমার থানা এলাকায় খুব বেশি হলে ১০-১২ জন নিয়োগ হতে পারে। প্রথম দিনই ২,১০০ ফর্ম বেরিয়ে গিয়েছে। জানি না এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে!” ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার কাজ চলবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঠিক কতগুলো পদে নিয়োগ হতে পারে? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’ তবে পুলিশের এক সূত্র জানাচ্ছে, ২০০টির মতো পদে নিয়োগ হতে পারে। ওই সূত্রে খবর, জেলায় নথিভুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা ৫,৮৯৮। এর মধ্যে ১০২ জন সুযোগ পেলেও চাকরিতে যোগ দেননি। এই সময়ের মধ্যে ১৬ জন সিভিক ভলান্টিয়ার মারা গিয়েছেন। ৫৩ জন চাকরি ছেড়েছেন। আর নানা অভিযোগে ১৫ জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ১৮৬টি শূন্যপদ রয়েছে। তার জন্য এত ভি়ড়? জেলা পুলিশের এক কর্তা মানছেন, “অনেকেই এখন একটা চাকরি খুঁজছেন। না হলে থানায় থানায় এই বিপুল ভিড় হত না।”

পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন থানাতেও এ দিন লম্বা লাইন ছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলেছে ফর্ম তোলা। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতনের এই কাজ পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হলেও ভিড়ে ছিলেন স্নাতকোত্তর যুবকরা। পাঁশকুড়া থানায় লাইনে দাঁড়ানো পীতপুরের দেবকান্ত মিশ্র যেমন কলা বিভাগের স্নাতকোত্তর। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সফল হতে পারিনি। সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি আমাদের কাছে কোনও অংশে কম নয়।’’ বাংলায় স্নাতকোত্তর রঘুনাথাবাড়ি গ্রামের সুকুমার পাখিরার কথায়, ‘‘বাবা-মা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। কতদিন আর বেকার থাকব। তাই চেষ্টা করছি।’’ পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮টি থানায় ২৩১জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন