Death

কাঁসাই নদীর পারে গর্ত থেকে উদ্ধার ৮ বছরের কিশোরের দেহ! সৎদাদার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

শনিবার দুপুরে বিনাডিহি এলাকায় কাঁসাই নদী সংলগ্ন একটি মাঠে গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ কিশোরের দেহ। মৃতের শরীরের একাধিক জায়গা ক্ষতচিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোতোয়ালি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নদীর ধারে একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হল ৮ বছরের একটি কিশোরের দেহ। শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। কিশোরের রহস্যমৃত্যু ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি গ্রামে। সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসী। অভিযোগ, ওই যুবকই খুন করেছেন এবং তিনি সম্পর্কে মৃতের সৎদাদা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনারডিহি গ্রামের এক কিশোর। তন্ন তন্ন করে তাকে খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও না পেয়ে পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায়। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর ২ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশও তার হদিস পায়নি। অবশেষে শনিবার দুপুরে বিনাডিহি এলাকায় কাঁসাই নদী সংলগ্ন একটি মাঠে গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ কিশোরের দেহ। মৃতের শরীরের একাধিক জায়গা ক্ষতচিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এর পর কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায় কংসাবতী নদীর ধারে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। এর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খুনির শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ।

এরই মধ্যে খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে মৃতের সৎদাদাকে। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে তাঁকে বাঁচাতে একটি ক্লাবঘরে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখেন স্থানীয় কয়েক জন। তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় অভিযুক্তকে। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন