শ্লীলতাহানির নালিশ ছাত্রীর, ছুটিতে অধ্যাপক

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী মানছেন, ‘‘এক অধ্যাপককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপু শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পাশাপাশি তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী মানছেন, ‘‘এক অধ্যাপককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’ ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের। অভিযোগকারী প্রথম বর্ষের ছাত্রী এই বিভাগে পড়াশোনা করেন। অভিযুক্ত অধ্যাপকও এই বিভাগেরই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন সেল’ (আইসিসি) রয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়ম মেনে উপাচার্য ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার জন্য তদন্তভার দিয়েছেন ওই সেলকেই। তদন্ত শেষ হলে নিয়ম মেনে সেল তার তদন্ত রিপোর্ট প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পেশ করবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কর্মসমিতি।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, দিন কয়েক আগে দুপুরে বিভাগের মধ্যেই তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন ওই অধ্যাপক। ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অভিযোগকারী ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা। ছাত্রীর অভিযোগপত্রে অনেক সহপাঠী সই করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগেও বিভাগীয় বৈঠক হয়েছে। বিভাগ থেকেও ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়- কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘তদন্ত যতদিন চলবে, ততদিন ওই অধ্যাপক ছুটিতে থাকবেন। উনি (অভিযুক্ত অধ্যাপক) বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না।’’ তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অভিযুক্ত যাতে কোনও ভাবে তদন্তকে প্রভাবিত করতে না পারেন সে জন্যই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

অভিযোগকারী ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। ওই অধ্যাপক যাতে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে না পারেন তার ব্যবস্থা করা হোক।’’ ছাত্রীটির কথায়, ‘‘আমি শুনেছি, ওই অধ্যাপক আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি চাই না, আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি, অন্য কোনও ছাত্রী সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুন।’’ অভিযুক্ত অধ্যাপকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। ফোন ধরেও তিনি কেটে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বিভাগের সহকর্মীদের কাছে ওই অধ্যাপক দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী। তিনি ‘ব্যাড টাচ’ করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন