কলকাতার পর ‘সুফল বাংলা’ এ বার জেলায়, জানালেন মন্ত্রী

কলকাতার পর এ বার রাজ্যের প্রতিটি জেলা শহরে ‘সুফল বাংলা’ স্টল চালু করবে কৃষি বিপণন দফতর। জেলার কৃষক বাজারগুলির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অফিসে এমন কথাই জানালেন রাজ্য কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০১:১৬
Share:

কলকাতার পর এ বার রাজ্যের প্রতিটি জেলা শহরে ‘সুফল বাংলা’ স্টল চালু করবে কৃষি বিপণন দফতর।

Advertisement

জেলার কৃষক বাজারগুলির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অফিসে এমন কথাই জানালেন রাজ্য কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে প্রতিটি জেলা শহরে সুফল বাংলার স্টল চালু করা হবে। এই স্টলে বিভিন্ন সাধারণ চাল থেকে তুলাইপঞ্জি চাল, মাছ, মাংস, সব্জি থেকে আচার, জ্যাম, জেলি-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যাবে।’’ আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলা শহরে সুফল বাংলার স্টল চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিক বৈঠকে কৃষি বিপণন মন্ত্রী জানান, রাজ্যের কৃষক বাজারগুলিতে কৃষকরা শুধু ফসল বিক্রি করতে আসেন। আর এখন থেকে ফসল বিক্রি ছাড়াও জামা-কাপড়, সার, বীজ কীটনাশক প্রভৃতি বিক্রি করা যাবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি কিষান বাজারগুলির অধিকাংশ চালু হয়ে গিয়েছে। যেসব স্থানে কৃষক তৈরির কাজ চলছে বা কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে সেগুলি দ্রুত চালুর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও এ দিন তিনি জানান।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৈরি কৃষক বাজার ও নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলির বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কৃষি বিপণন মন্ত্রী এ দিন জেলা পরিষদ অফিসে সভাকক্ষে নিজের দফতরের পদস্থ আধিকারিক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলার বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠকে তমলুক শহরের শহিদ মাতঙ্গিনী স্বদেশী মুখ্য বাজার ও পাঁশকুড়ার কৃষক বাজারের দোকানঘর বিলির পরও সেখানে অনেকেই দোকান চালু করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে জেলা কৃষি বিপনন দফতরের আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রী ওই বাজারগুলিতে আগামী একমাসের ওই দোকানঘরগুলিতে দোকান চালু করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন