পুজোর ভিড়ে ইভটিজার আর ছিনতাইবাজদের ঠেকাতে পুলিশের বিশেষ বাহিনী থাকবে খড়্গপুরে। রেলশহরের সব বড় পুজো মণ্ডপেই থাকবে এই ‘অ্যান্টি ইভটিজিং স্কোয়াড’। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরাও। সেই সঙ্গে থাকবে আকাশ থেকে ড্রোনে চলবে নজরদারি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তির থার্মাল ইমেজযুক্ত ড্রোন দিয়ে আমরা নজরদারি চালাব আকাশ পথে। পুজো ও মহরমের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা নিয়েছি।’’
পুজোর শহরে নিরাপত্তায় প্রতিবছরই নানা আয়োজন করে পুলিশ। প্রত্যেক বড় পুজো মণ্ডপে পুলিশের সহযোগিতা কেন্দ্র এ বারও থাকছে। কচিকাঁচাদের জন্য থাকছে বিশেষ চিরকুট, যাতে বাবা-মা’র ফোন নম্বর লিখে পকেটে দিয়ে দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে একজন সাব ইনস্পেক্টর, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ও কনস্টেবলরা সাদা পোশাকে ভিড়ে মিশে থাকবেন। তাঁদের শরীরের নানা অংশে থাকবে ক্যামেরা। গোলমাল চোখে পড়লেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হবে দুষ্কৃতীদের। গত বছর শারদোৎসবের পরীক্ষামূলক ভাবে এই স্কোয়াড কাজ শুরু করেছিল। এবং শুধু খড়্গপুরেই হাতেনাতে ধরা হয়েছিল ১৬ জনকে।
খড়গপুরে এ বছর ১০৫টি সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও বেশ কিছু বাড়ির পুজো হচ্ছে। ঠাকুর দেখতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তারও বন্দোবস্ত করছে জেলা পুলিশ। ঠিক হয়েছে, দুপুর দু’টোর পর থেকে শহরে কোনও ভারী যানবাহন ঢুকবে না ও বিকেল পাঁচটার পর থেকে শহরে ভিতর বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের রুখতেও বিশেষ বন্দোবস্ত থাকছে।
পুলিশের এই নিরাপত্তা আয়োজনে খুশি পুজো কমিটিগুলোও। খড়্গপুরের প্রেমবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির সম্পাদক চিরঞ্জিৎ রায় বলেন, ‘‘আমরা নিজেরাই মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগাই। পাশাপাশি জেলা পুলিশ নজরদারির যে বন্দোবস্ত এ বার করছে, তাকে সাধুবাদ জানাই।’’