জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী।
চব্বিশ ঘন্টা আগেই সবংয়ের দলীয় সম্মেলনে মানস ভুঁইয়াকে তৃণমূলের ‘গোডাউনের গেটকিপার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আর রবিবার দুর্গাপুর মাঠে মানস ভুঁইয়াকে পাশে বসিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘‘সাহস থাকলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বহরমপুর কেন্দ্রে দাঁড়ান। আমি আপনাকে হারাতে না পারলে রাজনীতি থেকে সরে আসব।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, “লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি। আপনি কেন, আপনার দল এ রাজ্যে একটিও আসন পাবে না।”
বিজেপির নোট বাতিল প্রসঙ্গেও অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, ‘‘যেখানে রাহুল গাঁধী মমতাদিকে পাশে বসিয়ে সম্মান জানাচ্ছেন, সেখানে অধীর-মান্নানরা এক হাতে সিপিএম অন্য হাতে দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য ভাগ করে দিতে চাইছেন।’’
দিন কুড়ি আগে সারা ভারত কৃষক সভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির ৩৭ তম জেলা সম্মেলন হয়েছিল গৌরার এই দুর্গাপুর মাঠেই। সেখানে সভা করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূযর্কান্ত মিশ্র। শুভেন্দুর সভার আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, শুভেন্দুর এই সভা তারই পাল্টা। সূযর্কান্ত মিশ্রের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জেনে রাখুন, একশো বছরেও আপনারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।”
মানস ভুঁইয়াও অধীরকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘অধীর এবং মান্নান সিপিএম ও বিজেপিকে নিয়ে বাংলার কংগ্রেসকে শেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ওঁদের কোনও দিশা নেই। তাই মুখে উল্টোপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছেন।”
এ দিনের সভা ঘিরে ঘাটাল ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে দলের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছিল। সে কথা কানে গিয়েছিল শুভেন্দুরও। এ দিন শঙ্কর দোলইয়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ঘাটাল উৎসবে আসব বলেও আমি আসতে পারিনি। তবে আমি ঘাটালে যাব।’’