পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র।
তিরন্দাজ মনিকা সরেনকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী। সম্প্রতি মহিষাদলে বীরাঙ্গনা কুমুদিনী ডাকুয়ার নামাঙ্কিত একটি মুক্ত মঞ্চের দ্বারোদঘাটন করেন পরিবহণ মন্ত্রী। সেখানেই এসেছিলেন মনিকা।
দারিদ্যর সাথে লড়াই করে মনিকা আজ তিরন্দাজিতে রাজ্যের এক উজ্জ্বল মুখ। পরিবহণ মন্ত্রী মনিকার হাতে সৃজন সম্মান তুলে দেন। মনিকা জানান, তার লক্ষ্য এ বার সিনিয়র দলে স্থায়ী আসন ও দেশের পতাকা বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরা। কিন্তু দারিদ্রতা যাতে তাঁর স্বপ্নে বাধা না হয়, তার জন্য সকলের সহযোগিতা চান মনিকা। সব শুনেই মঞ্চেই মনিকাকে একান্তে ডেকে শুভেন্দুবাবু সব রকমের সাহায্যর আশ্বাস দেন।
মনিকার গ্রাম যেখানে তার তিনদিকে জঙ্গল আর একদিকে নদী। মনিকা বলেন, ‘‘আমার তিরন্দাজিতে আসার পেছনে স্কুলের খেলার গেমসেরশিক্ষক সৌমিত্র বাবুর অবদান রয়েছে। বাবা-কাকাদের তির নিয়ে শিকারে যেতে দেখেছি কিন্তু এটা যে খেলার অঙ্গ জানতাম না।’’ বাড়ির এক ফসলি দেড় বিঘা ধান বিক্রির টাকা নিয়ে ব্যাঙ্ককে প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন মনিকা। সেখানে ব্রোঞ্জ পদক পান। ২০১৬ সালে আসে বড় সাফল্য। চিনের তাইপেতে তিরন্দাজিতে মনিকা দলগত বিভাগে সোনা পান। এরই মাঝে মনিকাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এই জঙ্গলমহলের উঠতি তারকাকে তিরন্দাজি আভ্যেসের জন্য আধুনিক মানের সরঞ্জাম তুলে দেন। মনিকা আপাতত সেই সরঞ্জাম নিয়েই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
মণিকার শুভানুধ্যায়ীদের কথায়, ‘‘কুড়ি বছর হয়ে গেলে সাই ছেড়ে দিতে হবে। তখন কি হবে মণিকার?’’ শুভেন্দুর প্রতিশ্রুতি পেয়ে খুশি মণিকাও। বলেন, ‘‘পরিবহণ মন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন। এটাই আমার কাছে অনেক।’’