কৃষকদের উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ কৃষি সমবায় সমিতিগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার উপর জোর দিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বিকেলে নন্দকুমার ব্লকের সাওড়াবেড়িয়া জালপাই উত্তরপল্লি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের চাষে আর্থিক সহায়তার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান থেকে শুরু করে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কৃষি বিমা করার ক্ষেত্রে গ্রামীণ সমবায়গুলির ভূমিকা রয়েছে। তাই গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতিকে মজবুত করতে সমবায়গুলিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।’’
এ দিন অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে । ইতিমধ্যে কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেতে শুরু করেছে।’’ বেসরকারি লগ্নি সংস্থাগুলি নিয়ে ফের সতর্ক করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘বেসরকারি এইসব অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সমবায় সমিতিগুলিকে মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা প্রমুখ ।
এ দিনই দুপুরে মহিষাদলের প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিভবনে ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলনে হাজির ছিলেন শুভেন্দুবাবু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘স্কুল ফাঁকি দিয়ে কোনও রকম আন্দোলন কর্মসূচী করবেন না। ছুটির দিনে সংগঠনের কর্মসূচী নেবেন কিংবা আপনাদের অর্জিত ছুটি থেকে ছুটি নিয়ে কর্মসূচীতে যোগ দেবেন।
সঙ্গে বাম আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘আগে স্কুলগুলিতে সিপিএমের হার্মাদ শিবির কিংবা যৌথবাহিনীর শিবির করা হত। এমনকী স্কুলের মিডডেমিলের চাল হার্মাদ শিবিরে যেত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর স্কুল গুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।’’ এই সম্মেলনে শুভেন্দুবাবুর পাশাপাশি কাথির সাংসদ শিশির অধিকারী, নন্দকুমার বিধায়ক সুকুমার দে, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস, সংগঠনের জেলা সভাপতি নীলকান্ত অধিকারী প্রমুখ ছিলেন।
শিক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, বিজ্ঞান-সহ নানা বিষয়ে অবিভক্ত মেদিনীপুর যে এগিয়ে সে কথা এ দিন সভাতে বলেন শুভেন্দুবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘মেদিনীপুরের লোকের অভাব আছে। কিন্তু শিক্ষায় বাংলা তথা ভারতে আমরা ভালো জায়গায় আছি। গত চার বছর ধরে আমাদের জেলা মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে আসছে। এবারে উচ্চমাধ্যমিকেও প্রথম হয়েছে।’’ মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।