পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের বার্তা মন্ত্রী শুভেন্দুর

বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশ বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন দেশে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টাও হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩০
Share:

বক্তা: ডেবরার সভায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। বুধবার ডেবরায় সংহতি দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাই ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে জয়ের লক্ষ্যে লড়াইয়ের বার্তা দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘দিদির উন্নয়নের রথে চড়ে ২০১৮ সালে এ জেলার সব পঞ্চায়েত দখল করতে হবে। সমস্ত শক্তিকে বুঝিয়ে দিতে হবে এই জেলা তৃণমূলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। এই জেলায় অন্য কিছু হবে না।’’ নোটবন্দি ও জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশ বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন দেশে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টাও হচ্ছে।”

Advertisement

চলতি মাসেই সবং বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। ভোটে বিজেপি অন্তরা ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছেন। এ বিষয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমরা একসময়ে মাওবাদী, কিষেনজিকে রুখে দিয়েছি। সুশান্ত ঘোষ, দীপক সরকার, তরুণ রায়েরা অনেক বন্দুক জমা করেছিলেন। অথচ এই জেলাতেই প্রথম পরিবর্তন সূচিত হয়। হালে পানি না পেয়ে সিপিএম এখন লাল জামা খুলে গেরুয়া
জামা পড়ছে।’’

একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘একসময়ে হার্মাদ বাহিনীর নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য সবংয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।”

Advertisement

সম্প্রতি ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এলাকার প্রাক্তন বিধায়কের নাম না করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখানকার এক প্রাক্তন বিধায়ক না কি অন্য দলে গিয়েছেন। আমি বলি আমরা দল করি দিদিকে দেখে। এ জেলায় তৃণমূল ছিল, আছে ও থাকবে।”

বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘নোটবন্দিতে কার লাভ হল? জাল নোট নষ্টের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব এখন কী বলছে? জাল নোট, কালো টাকা গেল কোথায়?” পরে কটাক্ষের সুরে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখন বিস্কুটের উপরে ১৩ শতাংশ জিএসটি। কিন্তু সোনার বিস্কুটের ওপর মাত্র ৩ শতাংশ জিএসটি।”

সভার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায়ের নাম না করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “উনি তো অনেক কিছু বলছেন। ওকে বলব ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। সবং উপ-নির্বাচন তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে। সেই নির্বাচনেই উনি টের পাবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement