বৈঠক: আইআইটি-তে নির্মলা সীতারামন। নিজস্ব চিত্র
ছাত্রাবস্থা থেকেই অর্থনীতির জ্ঞান বাড়াতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করে পড়ুয়াদের অর্থনীতির বিশেষ ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার খড়্গপুর আইআইটি-তে এসে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আইআইটি-র ‘বিনোদ গুপ্ত স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট’-এর ব্যবস্থাপনায় কালীদাস অডিটোরিয়ামে দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ছিলেন আইআইটি-র উপ-অধিকর্তা শ্রীমান ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অভিজিত চন্দ্র, প্রবীনা রাজি প্রমুখ। সম্মেলনে যোগ দিতে ভিন্ রাজ্য ও বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকেরাও উপস্থিত হয়েছেন। মূলত অর্থনৈতিক বাজার ও কর্পোরেট অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন বলে আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
অর্থনীতির অধ্যয়ন যে দেশের জন্য গুরকুত্বপূর্ণ বিষয় সে কথা এ দিন বারেবারে বুঝিয়ে দেন মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে সকলকে অর্থনীতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার কাজ করছি। এ জন্য অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের অর্থনীতির ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে।’’ তিনি জানান, আগামীদিনে চার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করে দেশের মানুষকে অর্থনীতির শিক্ষায় শিক্ষিত করা হবে।
দেশের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের হাল ভাল নয় বলেও এ দিন আক্ষেপ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র সঞ্চয় দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। যদিও ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের হাল ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে ডাকঘরগুলির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই আমরা ডাকঘরগুলির উন্নতিতে জোর দিয়েছি।” মন্ত্রী দাবি করেন, দেশে ‘স্থূল গার্হস্থ্য পণ্য’ (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট)-এর উৎপাদনের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতেও আমুল বদল আসতে চলেছে। পুরনো পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল, (পণ্য পরিষেবা কর) জিএসটি চালুর সুফলগুলিও তুলে ধরেন তিনি। নির্মলা সীতারামনের কথায়, “জিএসটি-র সুফল আজ বোঝা না গেলেও ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে এর সুফল পাওয়া যাবে।”
প্রযুক্তিবিদ্যার বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান আইআইটি-তে গত কয়েক বছর ধরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। এ দিন আইআইটি-র উপ-অধিকর্তা শ্রীমানবাবু বলেন, “আগামী অর্থবর্ষেই আমরা হাসপাতাল চালু করতে পারব বলে আশা করছি।” একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘এমন একটি সম্মেলনের আয়োজন খুব ভাল উদ্যোগ। এতে আমাদের অর্থনীতি সংক্রান্ত গবেষণায় আরও উন্নতি হবে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথোপকথনের সুযোগ থাকায় এই সম্মেলনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।”