কিশোরী পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার হলদিয়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর ওই কিশোরী তিন বছর ধরে ওই বাড়িতে কাজ করছিল। অভিযোগের তির বাড়ির মালিকের দিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে টাউনশিপ ফাঁড়ি ও ভবানীপুর থানার পুলিশ। ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ারই বাসিন্দা ওই কিশোরী তিন হাজার টাকা বেতনে ওই ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করত। প্রতিদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরত সে। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই সময়ই মেয়েটির মামা, তার মাকে ফোন করে জানায় একটা সমস্যার কারণে সে বাড়ি ফিরতে পারছে না। খবর পেয়ে মেয়েকে আনতে যান ওই মহিলা। মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে দেখা যায় বাড়ির বাথরুমে মেয়েটির অর্ধদগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। আর ঘর ভরে রয়েছে কেরোসিনের গন্ধে। মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, ‘‘বাড়ির মালিকই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে।’’ এই মর্মে পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলদিয়া বন্দরের মেরিন বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। ওই ব্যক্তি বাড়িতে সব সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিনের দুর্ঘটনার সময়ও বাড়িতে কেউ ছিল না বলেই দাবি অভিযুক্তের। অভিযুক্তের কথায়, ‘‘আমরা কেউ বাড়ি ছিলাম না। আমি বাজার করে ফিরে দেখি, বাথরুমে মেয়েটির দেহ পড়ে। আমি পুলিশকে ও মেয়েটির মাকে খবর দিই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেও। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।