চুক্তি নবীকরণে ক্ষোভ, গেটে তালা বন্দরে

কয়েকটি আবাসনেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভের জেরে আধিকারিক এবং কর্মী, কেউই বন্দরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

বন্দরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ। শুক্রবার।

দেড় মাসের মধ্যে ফের বিক্ষোভ হলদিয়া বন্দরে। শুক্রবার সকাল থেকে বন্দরের গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন অস্থায়ী শ্রমিকেরা।

Advertisement

আইএনটিটিইউসি সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের ওই শ্রমিকেরা বেতনের সমবণ্টনের দাবিতে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের যে চুক্তি হয়েছিল, তার মেয়াদ গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়। তারপর চুক্তির নবীকরণের দাবি তুললে একাধিকবার সময় বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে চুক্তিপত্র নবীকরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে পুরনো চুক্তিটিও ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে দাবি শ্রমিকদের। তাই ত্রুটিপূর্ণ চুক্তিকে সংশোধন করে নতুন করে চুক্তির নবীকরণের দাবী তুলেছেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, মাস দেড়েক আগেও তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। দাবি, তখন বন্দরের তরফে বলা হয় যে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত এ দিন বন্দরের মূল প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা। কয়েকটি আবাসনেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভের জেরে আধিকারিক এবং কর্মী, কেউই বন্দরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি। শ্রমিক নেতা চন্দন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চাইছি মাঝে কোনও ঠিকাদার থাকবে না। লভ্যাংশ বেতন হিসেবে শ্রমিকদের দিতে হবে। তাতে আমাদের বেতন একটু বৃদ্ধি পাবে। এখন যা বেতন পাই, তাতে সংসার চলে না।’’

Advertisement

পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জাতীয়তাবাদী এইচডিসি ঠিকা শ্রমিক মজদুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন সহ-সভাপতি চন্দন মণ্ডল সহ কয়েকজন প্রতিনিধি। বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠকে যোগ দেন বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান জি সেন্থিভ্যাল-সহ কয়েকজন আধিকারিক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে। এর পরেই বিক্ষোভ উঠে যায়। আইএনটিটিইউসি নেতা তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামলকুমার আদক বলেন, ‘‘শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রয়োজন। আগামী এক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বন্দর সমস্যার ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি কোনও আধিকারিক। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের দাবি নিয়ে নভেম্বরে অছি পরিষদের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন