সতীশ সামন্তর বসতভিটে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

Advertisement

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৭
Share:

সতীশ সামন্তর বসতভিটে। নিজস্ব চিত্র

ভারতীয় সংবিধানের খসড়ায় কারা সই করেছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কাকে ‘গুরু’ বলে মানতেন! দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন কোন বাঙালি!

Advertisement

প্রয়াত সাংসদ সতীশ সামন্তর বাড়িতে এখনও সেই সব তথ্য গচ্ছিত রয়েছে। যাঁর খ্যাতি ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের’ সর্বাধিনায়ক হিসেবে।

মহিষাদলের গোপালপুরে সতীশবাবুর বাড়ির পাশে ‘সংগ্রহশালা’য় ঠাঁই পেয়েছে বিভিন্ন দুর্লভ নিদর্শন। সংগ্রহশালায় ওই সব জিনিস থাকলেও, তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সংরক্ষিত করে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর পরিবারের। মহিষাদলের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন অধ্যাপক হরিপদ মাইতি বলেন, ‘‘সতীশবাবু আমাদের মহিষাদল-সহ জেলাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সেই অবদান অক্ষত রাখাতে যা যা প্রয়োজন তা জোগাড় করে সংগ্রহশালা রক্ষার চেষ্টা করব।’’

Advertisement

তমলুকের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর সতীশ সামন্ত অবদান সুরক্ষিত রাখতে তৎপর হন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর উদ্যোগে সতীশবাবুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসে। তাঁর বাড়ি যাওয়ার জন্য কংক্রিটের রাস্তা বানানো হয়েছে। সতীশবাবুর সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে তাঁর ব্যবহৃত জিনিস, দুর্লভ ছবি-সহ বিভিন্ন জিনিস সুরক্ষিত রাখতে ‘সংগ্রহশালা’ বানিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের ‘সর্বাধিনায়ক’ যে পোশাক পরতেন তা, তাঁর সই করা ভারতীয় সংবিধানের খসড়া, হলদিয়া বন্দর সংক্রান্ত চিঠি সযত্নে বাড়িতে রাখা রয়েছে। আজ, সতীশবাবুর জন্মদিনে সংগ্রহশালায় সেগুলি রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। সতীশবাবুর বসতভিটে হেরিটেজ হিসেব ঘোষণার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। সতীশবাবুর ভাই ধীরেন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বা প্রশাসন যদি এগিয়ে না আসে, তবে দাদার বসতভিটে সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’’

মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা সতীশবাবুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র আগামী প্রজন্মের জন্য গুছিয়ে রাখতে চাই। এর জন্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দুবাবুর সম্মতিও মিলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement