ভরদুপুরে জানালার রড কেটে বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতী। হাতেনাতে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হাতে দুষ্কৃতীকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মানুষ। রবিবার গড়বেতা থানা এলাকার লাপুড়িয়া গ্রামের ঘটনা।
গত বৃহস্পতিবার লাপুড়িয়া গ্রামেই অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা নাগাদ অমিয়বাবুরা মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সময় দুষ্কৃতীরা জানালার রড কেটে নগদ ১৩ হাজার টাকা ও প্রায় দেড়শো গ্রাম সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। অমিয়বাবুর ছেলে শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির আরামবাগে ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত। শঙ্খবাবু বলেন, “দিনেদুপুরে এ ভাবে চুরির ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি! আমার তো মনে হচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে। যারা বেশ কিছুদিন ধরে নজর রাখার পর এই কাজে নেমেছে।” চুরির পর জানালার রড কাটার যন্ত্রও ফেলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। শঙ্খবাবু জানান, সেগুলি তিনি পুলিশকে দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকেই গ্রামবাসীরা সতর্ক ছিলেন। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ একজন হঠাৎ খেয়াল করেন, লাপুরিয়া গ্রামেরই শুভেন্দু ভট্টাচার্যের বাড়ির জানালার রড কাটছে একজন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের সকলকে খবর দেন তিনি। সকলে মিলে বাড়ির চারিদিক ঘিরে ফেলেন। ধরা পড়ে যায় দুষ্কৃতী। ওই সময় শুভেন্দুবাবুও বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই চুরির পরিকল্পনা করেছিল দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশি উদাসীনতার কারণেই চুরি বাড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।