প্রতিবেশী এক যুবককে খুনের দায়ে একই পরিবারের পাঁচজনের দশ বছরের কারদণ্ডের সাজা হল পূর্ব মেদিনীপুরে। শনিবার জেলা আদালতের বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্ট) মদনমোহন মিশ্র ওই আদেশ শোনান। জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার খঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে প্রতিবেশী সুরথ সামন্ত নামে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০০৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ওই বধূ সুরথের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন। একসপ্তাহ পরে সুরথ নিজের বাড়িতে ফিরলেও ওই বধূকে মেনে নেননি সুরথের মা। ফলে তিনি নিজের বাপের বাড়িতে চলে যান।
১৯ ফ্রেব্রুয়ারি তাঁর দাদা বোনকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে দিতে আসেন। তারপরই সুরথকে ডেকে এনে ঘরে আটকে মারধর করেন ওই বধূর ভাই, স্বামী ও পরিবারের অন্য লোকজনেরা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সুরথের। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই বধূর শ্বশুরবা়ড়ির সামনে থেকেই। সুরথের মা ও দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূর স্বামী নারায়ণ সামন্ত, ভাই চিত্তরঞ্জন সামন্ত-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌমেনকুমার দত্ত জানান, ‘‘অভিযুক্তদের অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। প্রত্যককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা
করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।’’