প্রতীকী ছবি।
‘লড়াই’টা এমনিতে ত্রিমুখী। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোয় একপক্ষ লড়াইয়ে নেই। তাই বাকি দু’পক্ষই নেমে পড়েছে মাঠে। কার পুজো বেশি দর্শক টানতে পারে, কার মণ্ডপই বা বেশি নজর কাড়ে— তাই নিয়েই লড়াই শুরু হয়েছে চন্দ্রকোনা শহরের তৃণমূলের শিবিরে!
চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন নয়। একদিকে রয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী। অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক ছায়া দোলই, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ-সহ অন্যরা।
আর একদিকে রয়েছেন চন্দ্রকোনা পুরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধাড়া, প্রদীপ সাঁতরারা। এই লড়াইয়ে কোনও পক্ষের সঙ্গেই থাকছেন না তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী।
দুর্গাপুজো মিটতেই চন্দ্রকোনায় শুরু হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি। মণ্ডপ থেকে আলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— সবেতেই একে অপরকে টেক্কা দিতে শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি।
তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, পুজোর লড়াইয়ে একপক্ষে রয়েছেন চন্দ্রকোনা পুরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধাড়া। আক জগদ্ধাত্রী পুজোর লড়াইয়ে অন্যপক্ষে রয়েছেন চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ। হীরালালকে প্রকাশ্যেই সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন বিধায়কের ‘ঘনিষ্ট’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত সৌগত দণ্ডপাট। দিনরাত খাটছেন দলের ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরাও।
গত বছর চন্দ্রকোনা শহরের সুরের হাটে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন চেয়ারম্যান অরূপবাবু। পুজোয় জাঁক ছিল যথেষ্ট।
এ বার অরূপবাবুর পুজোকে টক্কর দিতে নতুন করে শহরের জিরাট হাইস্কুল মাঠে পুজো করতে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন হীরালাল ঘোষের লোকেরা।
পুজোকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে এখন চলছে জোর জল্পনা। পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই শুরু হয়েছে। মণ্ডপ,আলো, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে একে অপরকে টেক্কা দিতে শুরু হয়েছে জোর প্রতিযোগিতা।
পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ দেখে শহরের বাসিন্দারা কেউ কেউ বলছেন, “মণ্ডপে দর্শক সমাগমই বলে দেবে পাল্লা ভারী কোন দিকে।” আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারা বলছেন, “পুজো হোক। আমাদের কথা যেন মাথায় থাকে উদ্যোক্তাদের।”
অরূপবাবু ও হীরালালবাবু অবশ্য নিজেদের পুজোকেই ‘সেরা’ প্রমাণ করতে ব্যস্ত।
অরূপবাবু বলছেন, “সাধারণ মানুষ সুরের হাটের সঙ্গেই ছিলেন, থাকবেন।” আর হীরালাল বলছেন, “আমাদের পুজো তো সবর্জনীন।”