তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গ্রাম সংসদ ভেস্তে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার সন্ধ্যায় সবংয়ের দেভোগ ও ভিকনি বাটিটাকী গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, এ দিন ওই দু’টি গ্রামে সংসদের সভায় ইন্দিরা আবাস যোজনা ও গীতাঞ্জলি যোজনায় কাজ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকেরা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এমনকী বচসা থেকে হাতাহাতিও শুরু হয়। এরপরে সভা স্থগিতও করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া-সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তারপরেই দলের পুরনো কর্মীদের নতুনদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার বার্তা দেন জেলা নেতৃত্ব। যদিও দলের নিচু স্তরে বিরোধ যে মেটানো যায়নি তা এ দিনের ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
এ দিন সবংয়ের দেভোগ ও ভিকনি বাটিটাকি গ্রামে গ্রাম সংসদ সভার ডাকা হয়েছিল। দু’টি সভাতেই গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ নিয়ে আলোচনা চলছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা কয়েকজন বৈঠকে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া নিয়ে নানা অভিযোগ তুলতে থাকে। এর জেরেই দলের একাংশ নেতা-কর্মীর সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। শেষমেশ সভা স্থগিত রাখতে হয়। আজ, বুধবার সবং ব্লক অফিস সংলগ্ন বাজারে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী আয়োজিত হবে। তার আগে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব। আজ সবংয়ের বিজয়া সম্মিলনীতে সাংসদ দেবের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। যদিও তিনি আসছেন না বলে দলীয় সূত্রে খবর। এ বিষয়ে তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “গ্রাম সংসদ সভায় নতুন ও পুরনো কর্মীদের মধ্যে পঞ্চায়েতের নানা সুবিধা পাওয়া নিয়ে একটা গোলমাল হয়েছিল। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।” সবংয়ের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে গ্রাম সংসদ সভায় নিজেদের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিল। তাই সভা মুলতবি হয়ে গিয়েছে। সমস্যার সমাধান করতে পরে দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।”