কাটমানি বিতর্কে জড়ালেন জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ

রবিবার তমলুকের পদুমপুর পঞ্চায়েতের কালিকাপুর এলাকায় ‘কাটমানি’ ইস্যুতে একাধিক পোস্টার দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাটমানি বিতর্কে জড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ বেরা।

Advertisement

রবিবার তমলুকের পদুমপুর পঞ্চায়েতের কালিকাপুর এলাকায় ‘কাটমানি’ ইস্যুতে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। ডিজিটাল ফ্লেক্সে হলুদ রঙের কালিতে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে বেকারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শৌচাগার নির্মাণের জন্য ব্লকে ব্লকে উপভোক্তাদের কাছ থেকে ২২০০ টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়েছে’। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি নির্মাণের জন্য উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সব অভিযোগেই দায়ী করা হয়েছে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরাকে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি এবং কাটমানির টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে ওই ফ্লেক্সে। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ওই ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার রাতে কালিকাপুর এলাকায় এ ধরনের একাধিক ফ্লেক্স দেখা যায়। তবে কে বা কারা সেগুলি লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে পরপর দুবার জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোনীত হন সোমনাথ। তা ছাড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। সোমনাথের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। একটি মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। আরেকটি মোবাইলে একাধিক বার ফোন করা হলেও কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

যদিও এদিন শাসক দলের এই নেতার বিরুদ্ধে কাটমানির পোস্টার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘গোটা তৃণমূল দলটাই কাটমানি খেয়ে বসে আছে। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে প্রত্যেকের কাছ থেকে জবাব চাইছে। তৃণমূল নেতারা উত্তর দিতে পারবে না বলেই এখন এলাকায় জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন