বচসায় কোপ তৃণমূল নেতাকে

জখম ওই বুথ সভাপতি মুজিবর মল্লিক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০০:২৫
Share:

আক্রান্ত মুজিবর মল্লিক। নিজস্ব চিত্র

রেশন দোকানে বচসা। কথা কাটাকাটি। তারপর রেশন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার আক্রান্ত হলেন গোয়ালতোড় ব্লকের তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি। অভিযোগ, রীতিমতো রাস্তায় ফেলে মারধর এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে।

Advertisement

জখম ওই বুথ সভাপতি মুজিবর মল্লিক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

গোয়ালতোড় ব্লকের পিয়াশালা অঞ্চলের বগড়িডিহি বুথের তৃণমূলের সভাপতি মুজিবর। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে তিনি হুমগড়ে রেশন ডিলারের কাছে রেশনদ্রব্য আনতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে রেশন গ্রাহকদের সঙ্গে মুজিবরের বচসা হয়। রেশন নিয়ে ফেরার পথে বেলা ১১ টা নাগাদ হুমগড়ের রাস্তায় তাঁকে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায়, শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা থেকে মুজিবরকে উদ্ধার করে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘রেশন দোকান থেকে ফেরার পথে বগড়িডিহি বুথের দলের সভাপতি মুজিবর মল্লিককে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। লাঠি, লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারা হয়। এমনকি, ধারাল কিছু দিয়ে কোপানোও হয়। স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির গোয়ালতোড় উত্তর মণ্ডলের সভাপতি উজ্জ্বল হাটুই বলেন, ‘‘এর সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। রেশন দোকানে হয়তো কিছু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় মানুষই তার প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপি মারধরের রাজনীতি করে না।’’

Advertisement

কয়েকদিন আগে এই বুথেরই তিনজন তৃণমূল কর্মীকে রাতের বেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। লোকসভা ভোটে আশেপাশের বুথে গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকলেও বগড়িডিহি বুথে তৃণমূলের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে বিজেপি। তারপরই বগড়িডিহি এলাকায় তৃণমূল - বিজেপি রেষারেষি বাড়তে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন