মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
নেত্রীর নির্দেশের পরই কি তবে দৌড় শুরু হয়ে গেল!
বসে থাকবেন না। জনসংযোগে ঘরে ঘরে যান। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের এমনই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে তার পরের দিন, বুধবার দলের কাজে শালবনিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। মেদিনীপুরে এসেছিলেন সবংয়ের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। তৃণমূল সূত্রের খবর, নেত্রীর নির্দেশের পরই সক্রিয় হয়েছেন জেলার নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী এখন পাশের জেলা, পূর্ব মেদিনীপুরে সফরে ব্যস্ত। এরই মধ্যে জনসংযোগ শুরু করলেন নেতারা। অজিত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই জেলায় কাজ শুরু হয়েছে।’’ আর অমূল্যের কথায়, ‘‘মেদিনীপুর এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। শীঘ্রই বৈঠকে বসব।’’
প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ- সভাধিপতি অজিতকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘‘জেলা পরিষদকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের কাজটা করতে হবে। মানুষ যদি কিছু চায় বিরক্ত হবে না। সকলকে আমরা সব দিতে পারি না। কিন্তু কথাটা শুনতে পারি।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, যে সব এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, জেলা পরিষদের মাধ্যমে সেই সব এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শালবনিতে অজিতের ছুটে যাওয়া এবং মেদিনীপুরে এসে কর্মীদের সঙ্গে অমূল্যের কথা বলা কি এসবেরই প্রতিফলন!
শাসক দল সূত্রের খবর, জেলা পরিষদ সদস্যদের তরফে কেশিয়াড়ি দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন সভাধিপতি। শালবনি দেখবেন সহ- সভাধিপতি, গোয়ালতোড় দেখবেন বিদায়ী কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, মেদিনীপুর গ্রামীণ দেখবেন অমূল্য, খড়্গপুর গ্রামীণ দেখবেন বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি। ‘দিদির ধমকে’র পর দৌড় শুরু করেছেন অজিত, অমূল্য। নির্মল বলেছেন, ‘‘শীঘ্রই গোয়ালতোড় যাব। ব্লক, অঞ্চলে বৈঠক করব।’’ আর শৈবালের কথায়, ‘‘যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করব।’’
দলের এক সূত্রে খবর, কোথাও কোনও কাজে কোনও গাফিলতি কেউ করেছে কি না, কোথাও মানুষকে ঠকানো হয়েছে কি না, এই সবেরই খোঁজখবর করবেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। গরিব মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছনোও নিশ্চিত
করবেন তাঁরা।
ঠিক যেমনটা বলেছেন নেত্রী।