গত বারের চেয়ে বেশি জনসমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছেন ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দোলই। কিন্তু এমন জয়েও স্বস্তিতে নেই ঘাটাল ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, ব্লকের ১২টি অঞ্চলের মধ্যে চারটি পঞ্চায়েতে দলের ফল ভাল হয়েছে। কোন্দলের জেরে বাকি অঞ্চলগুলিতে শাসক শিবিরে ভোট পড়েছে গতবারের তুলনায় কম। তাই এবার দলকে চাঙ্গা করতে ব্লক জুড়ে সগঠনে রদবদলের পথে হাঁটছেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝির কথায়, ‘‘আমরা এখন অঞ্চল কমিটির উপর জোর দিচ্ছি। ইতিমধ্যে দু’টি অঞ্চল কমিটিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরে বুথ ও ব্লক কমিটিতেও রদবদল করা হবে।”
ঘাটালে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন ঘটনা নয়। ব্লক সভাপতি অজিত দের সঙ্গে বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের কোন্দল প্রভাব ফেলেছিল ভোটের প্রচারেও। ফল প্রকাশের পরই দলের ব্লক সভাপতির কাজকর্ম নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে নালিশও জানিয়েছেন বিধায়ক অনুগামীরা। এমনকী, ব্লক সভাপতির পদে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। সঙ্গে যে সব অঞ্চলে দলের ফল খারাপ হয়েছে সেই অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বীরসিংহ ও মনোহরপুর-২ অঞ্চল কমিটি ভেঙে দিয়েছে ব্লক নেতৃত্ব। ওই দু’টি অঞ্চলে শঙ্করবাবু জোট প্রার্থী কমল দোলইয়ের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন। আজবনগর-১ ও ২, ইড়পালা, মোহনপুর-সহ আরও আটটি অঞ্চলেও ফল আশানুরূপ হয়নি। তাই ওই অঞ্চলেও রদবদলের ভাবনা রয়েছে ব্লক তৃণমূলের। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের কথায়, ‘‘প্রায় সব অঞ্চলেই বহু সদস্যকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। ভোটে যাঁরা দলের হয়ে বেশি সময় দিয়েছিলেন-তাঁদের কমিটিতে এনে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ব্লক কমিটি ও ব্লকের কোর কমিটিও ভেঙে দেওয়া হবে। পুরনো সদস্য যাঁরা পদে থেকেও দলের হয়ে কাজ করেননি-তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক ব্লক নেতৃত্বের কথায়, “পুরো ঘাটাল ব্লক জুড়েই বিধায়ক বিরোধী সব সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বুথ থেকে ব্লকের বহু নেতৃত্বই গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন-দলীয় তদন্তে এরকম বহু নেতৃত্বদের চিহ্নিত করাও হয়েছে।’’