বড়দিনে পিকনিকে সামিল পথশিশুরা

খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয় সংলগ্ন পার্কে ১০০ জন পথশিশুকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয় সোমবার। এর আগে হাসপাতালে ফল বিলি, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের মতো কাজ করেছে এই হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপের সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
Share:

পিকনিকে খুদেদের সঙ্গে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

পার্ক থেকে চিড়িয়াখানা- বড়দিনে ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। যে যার মতো করেই মেনেছেন আনন্দে। যদিও এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত পথশিশুরা। তাদের বড়দিনও কাটে আর পাঁচটা দিনের মতোই। এ বার খড়্গপুর শহরের পথশিশুদের নিয়ে বড়দিন পালন করল তৃণমূল কর্মীদের তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্যরা।

Advertisement

খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয় সংলগ্ন পার্কে ১০০ জন পথশিশুকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয় সোমবার। এর আগে হাসপাতালে ফল বিলি, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের মতো কাজ করেছে এই হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপের সদস্যরা। এ বার শহরের পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পিকনিকের পরিকল্পনা করে তাঁরা। পিকনিকে পথশিশুদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপের সদস্যদের পরিবারের বাচ্চারাও। হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপটির গ্রুপটির অ্যাডমিন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, তৃণমূলের যুব নেতা প্রলয়শঙ্কর ঘোষ, কর্মী সোহম ঘোষরা বলেন, “আমাদের এই হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপের সদস্যরা নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। অনেকদিন ধরেই পথশিশুদের নিয়েও আমাদের কিছু করার ভাবনা ছিল। কারণ আমরা যে কোনও উৎসবে আমরা অনেক আনন্দ করি। কিন্তু ওরা সেই সুযোগ পায় না। তাই বড়দিনকে উপলক্ষে পথশিশুদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন।”

পিকনিকে এত সংখ্যক পথশিশুকে একসাথে সামিল করা সহজ ছিল না। তাই পিকনিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সংস্থাটি পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে। খড়্গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার পথশিশু ও বস্তির শিশুদের এই পিকনিকে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিয়েছিল ওই সংস্থাই।

Advertisement

পিকনিকে সকালে জলখাবার খেয়েই পার্কে খেলাধুলোয় মেতেছিল খুদেরা। দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, তরকারি, মাংস, চাটনি, মিষ্টি। প্রথম এভাবে বড়দিনে পিকনিক করতে পেরে খুশি খুদে শেখ আসিক, সাবানা খাতুন, পূর্নিমা পাত্ররা খুব খুশি। তারা বলছিল, “বড়দিন কী তা জানতাম না। এখানে এসে বুঝলাম বড়দিনে খুব আনন্দ হয়। সারাদিন খেলাধুলো করলাম। দুপুরের খাবারে মাংসও খুব ভাল হয়েছিল। প্রতিবছর যদি এ ভাবে বড়দিন হয় তবে খুব ভাল হবে।” এ দিন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শুভদীপ রায়চৌধুরী বলছিলেন, ‘‘পথশিশুদের নিয়ে এমন উদ্যোগ কম দেখেছি। আমার মনে হয় এ বার ওরা প্রথম খুব ভাল করে
বড়দিন কাটালো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন