রাস্তা সংস্কারে ঢিলেমি, নিত্য যানজট

দাবি মেনে চন্দ্রকোনা রোডের লেভেল ক্রসিংয়ের দু’দিকের রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেছে রেল। যদিও ঢিমেতালে কাজের জেরে নিত্যদিন যানজট। পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০১:৫২
Share:

দাবি মেনে চন্দ্রকোনা রোডের লেভেল ক্রসিংয়ের দু’দিকের রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেছে রেল। যদিও ঢিমেতালে কাজের জেরে নিত্যদিন যানজট। পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

রাস্তা নয়, মরণফাঁদ।

Advertisement

দাবি মেনে চন্দ্রকোনা রোডের লেভেল ক্রসিংয়ের দু’দিকের রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেছে রেল। যদিও ঢিমেতালে কাজের জেরে নিত্যদিন যানজট। পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

চন্দ্রকোনা রোড রেল স্টেশনের দু’দিকে রয়েছে এই দু’টি লেভেল ক্রসিং। দু’টি ক্রসিংই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর চন্দ্রকোনা রোড ঢোকার আগে কুবাই নদীর কাছে একটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। চন্দ্রকোনা রোড পেরিয়ে গড়বেতা ঢোকার মুখে রয়েছে আর একটি লেভেল ক্রসিং। দু’টি লেভেল ক্রসিংয়ের রাস্তারই জীর্ণ দশা। কুবাই নদীর উপর সেতুটিও সঙ্কীর্ণ। একটির বেশি গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। রাস্তা সারাইয়ের কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ। সেতুও সঙ্কীর্ণ হওয়ায় দু’দিকে প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। খড়্গপুর থেকে এই রাস্তা দিয়েই বহু লরি যাতায়াত করে। ফলে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়েন।

Advertisement

রাস্তা সংস্কারের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এতদিন কোনও পরিকল্পনা করেননি বলে অভিযোগ। জেলা পরিষদও ছিল উদাসীন। মাসের পর মাস একই সমস্যা চলতে থাকায় টনক নড়ে জেলা পরিষদের। রাস্তা সংস্কারের জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। দিন কয়েক আগে কাজ শুরু হয়েছে। যদিও অতি ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে ওই রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা নিত্যদিনের ঘটনা। এক বাস চালকের কথায়, “সময়ে গন্তেব্যে পৌঁছতে পারব না বলে অন্তত ১০ মিনিট আগে লেভেল ক্রসিংয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করি। যাত্রীর আশায় অপেক্ষা না করে ক্ষতি করি। তবু দেখি প্রতিদিন দেরি হচ্ছে। যে দিন ভাগ্য ভাল থাকে সে দিন আধ ঘণ্টা দেরি হয়। না হলে কত যে দেরি হবে কেউ জানে না।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরার অভিযোগ, “সমস্যার কথা জানিয়ে প্রায় এক বছর আগে রাস্তা সংস্কারের জন্য রেলকে জানিয়েছিলাম। কাজ শুরু হওয়ায় বারবার চিঠিও দিয়েছি। কয়েকদিন আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। তাও কাজ চলছে ঢিমেতালে। মানুষের হয়রানির শেষ নেই। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। জানি না, এ ব্যাপারে রেল কেন এত উদাসীন।’’ এ নিয়ে রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম অনশুল গুপ্ত বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যাতে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করা যায় সে জন্য পদক্ষেপ করা হবে।”

শুধু লেভেল ক্রসিংয়ের রাস্তা নয়, আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে সমস্য়া রয়েছে। শালবনি ঢোকার মুখে একটি খালের উপর রয়েছে সরু সেতু। সেতুর উপর দিয়ে একটির বেশি গাড়ি চলতে পারে না। সেতুর একপ্রান্ত থেকে বোঝাও যায় না অন্যপ্রান্তে গাড়ি রয়েছে কি না। ফলে যে কোনও সময় দু’টি গাড়ির মুখোমুখি চলে আসার আশঙ্কাও রয়েছে।

শালবনি পেরিয়ে তমাল নদীর উপর আর একটি সেতুও সরু হওয়ার কারণে যানজট হয় বলে অভিযোগ। রাস্তাগুলি সম্প্রসারণ না হলে সমস্যা কমবে না বলে স্থানীয়দের দাবি। জেলা সভাধিপতি উত্তরাদেবী জানিয়েছেন, এ বিষয়েও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যাতে নজর দেন সে জন্য চিঠি দিয়ে জানানো হবে। সেতু চওড়া করতে পদক্ষেপ করার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন